তিনি আরও বলেন, যে যেই ধর্মেরই হোক প্রত্যেকে তাদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে পালন করবেন। এ বিষয়ে সরকার সবসময়ই সচেতন।
শুক্রবার সকালে পঞ্চগড়ের আহমদনগরে আহমেদিয়া মুসলিম জামাতের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আর যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি দাবি করেন, ‘২০১৪ সালে যারা আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছিল সেই জামায়াত-বিএনপি বিগত নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিপুল বিজয়কে মেনে নিতে পারছে না। তাই তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানা অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
রেলমন্ত্রী আহমদনগরের আহমদিয়াদের ওপর হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে এবং ওই সম্প্রদায়ের অনুসারীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন। এছাড়া তিনি আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা ব্যয়সহ ক্ষতিপূরণ প্রদানের আশ্বাস দেন।
পরিদর্শন শেষে রেলপথমন্ত্রী জলসাস্থলে এক সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন। এ সময় পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাটসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আহমদিয়া মুসলিম জামাতের বার্ষিক সালানা জলসা বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে খতমে নবুয়তসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সংগঠনের অনুসারীরা আহমদনগরে আহমদিয়াদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ব্যবহার করে। পরে ওই রাতেই প্রশাসন জলসা অনুষ্ঠান স্থগিত ঘোষণা করে।