রবিবার ঢাকায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক মামলার আবেদন করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল।
পরে ব্যারিস্টার সুমনের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা খারিজ করে দেয়া হয়।
এদিকে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে সারাদেশে পৃথক পৃথক রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেছেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন নেতারা।
রবিবার দুপুরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে মামলা দায়ের করেন সিলেট মহানগর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা অ্যাডভোকেট সারোয়ার মাহমুদ।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন প্রিয়া সাহা। তাই তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়েছে।
একই অভিযোগে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রবিবার সকালে সিলেটের এডিশনাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন সিলেট মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রিমাদ আহমদ রুবেল।
উল্লেখ্য, গত বুধবার হোয়াইট হাউসে সারা বিশ্বে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার এরকম ২৭ জন ব্যক্তির কথা শুনেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে মিয়ানমার, নিউজিল্যান্ড, ইয়েমেন, চীন, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, জার্মানি ও বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এসময় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান।
প্রিয়া সাহা ট্রাম্পকে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের জমিজমাও দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।’
কারা জমি ও ঘরবাড়ি দখল করেছে তা ট্রাম্প জানতে চাইলে প্রিয়া সাহা বলেন, সব সময় রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনগুলো এসব দখল করেছে।
এদিকে প্রিয়া সাহা ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছে করেছেন তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন নিয়ে ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের উদ্দেশ্যেই প্রিয়া সাহা এই ধরনের বানোয়াট ও কল্পিত অভিযোগ করেছেন।’