মামলা
কুয়েটের সাবেক উপাচার্যসহ ১৫ জনের নামে মামলা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাবেক উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান ও মাহদী হাসান বাদী হয়ে এই মামলা করেছেন।
সোমবার (১৪ই এপ্রিল) নগরীর খানজাহান আলী থানায় মামলা দুটি নথিভুক্ত করা হয়। তবে গতকাল (মঙ্গলবার) নথিপত্র আদালতে পাঠানো হলে মামলার বিষয়টি সামনে আসে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন। তিনি জানান, ২০১৭ সালের ১ মে রাতে কুয়েটের লালন শাহ হলের গেস্ট রুমে মামলার এক বাদী লুৎফর রহমানকে রাতভর মারধর করা হয়। এতে ওই শিক্ষার্থীদের দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে যায়। একই রাতে বাদী মাহদী হাসানকেও মারধর করা হয়। এতে তার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ওসি কবির হোসেন আরও জানান, চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীরা খুলনা মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার আবেদন করেন। পরে আদালত থানাকে মামলাটি গ্রহণের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে সোমবার মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তালা ভেঙে কুয়েট শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ, ভিসির পদত্যাগ দাবি
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লুৎফর রহমানের মামলায় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সোবহান মিয়া, সাবেক রেজিস্ট্রার জি এম শহিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত হোসেন নয়ন, সাধারণ সম্পাদক আলী ইমতিয়াজ সোহান, ছাত্রলীগ কর্মী মো. আসাদুজ্জামান, লালন শাহ্ হলের তৎকালীন ছাত্রলীগ কর্মী ও পরবর্তী কুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্রনীল সিংহ শুভ, ছাত্রলীগ নেতা এইচ এম তানভীর রেজওয়ান সিদিক, আল ইশমাম, রেশাদ রহমান, তারিকুল তিলক, পরিমল কুমার রায়, আলী ইবনুল সানি, তারিক আহমেদ শ্রাবন ও দৌলতপুর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে মাহদী হাসানের মামলায় সাবেক উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা আলী ইবনুল সানি, কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান, বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগ কর্মী আবির স্বপ্নিল, তাশরিফ সালেহ রাহুল, ফয়সাল, মশারুর আলম কৌশিক, আসাদুজ্জামান রিয়ান, পরিমল কুমার রায়, তারিক আহমেদ শ্রাবন ও দৌলতপুর থানার সাবেক সভাপতি এস এম আনোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
১ দিন আগে
কুয়েটে সংঘর্ষের দুই মাস পর ২২ শিক্ষার্থীর নামে মামলা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবির জেরে সংষর্ষের ঘটনায় ২২ শিক্ষার্থীদের নামে মামলা হয়েছে।
সংঘর্ষের দুই মাস পরে গত বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) হোচেন আলী নামে এক ব্যক্তি খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আমলী আদালতে এই মামলা করেন। মামলার পর খানজাহান আলী থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: কুয়েটের আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা
তবে খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, এ মামলা সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র তারা এখনও পাননি।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এই মামলার ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করে কুয়েট-১৯ নামক ফেসবুক পেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি পোস্ট করা হয়। যৌক্তিক আন্দোলন দমনের অপচেষ্টায় প্রশাসন ও তদন্ত কমিটির যোগসাজশেই এই মামলা করা হয়েছে কিনা— এমন প্রশ্ন রাখা হয় পোস্টে। মামলা দায়েরকারীরা কীভাবে শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানলেন এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে, রবিবার (১৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের নামে মামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কুয়েট শিক্ষক সমিতি।
প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রবিবার দুপুর ২টায় বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে ঢুকে হলে উঠার ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ভিসির বাসভবনে তালা, আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
হলে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একাধিক সভা, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি, বিজ্ঞপ্তি জারি ও অভিভাবকদের মোবাইলে এসএমএস দিয়ে শিক্ষার্থীদের কুয়েটে না পাঠানোর অনুরোধ জানায়। তবে কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ক্যাম্পসে ঢোকার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রবেশ ঠেকাতে ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় কুয়েট প্রশাসন। এতে সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
আজ (রবিবার) দুপুর ২টা থেকেই শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে শিক্ষকরাও সেখানে যান। এরপর দুপক্ষের আলোচনা শেষে আইডি কার্ড যাচাই করে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
৩ দিন আগে
দুর্নীতির মামলায় খালাস পেলেন ফালু
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী ফালু।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রবিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এই রায় দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘ফালুর বিরুদ্ধে করা মামলার কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন।’
বিচারক আরও বলেন, ‘ফালুর যদি অবৈধ সম্পদ থাকে, সেটা তো অবরুদ্ধ করতে হতো। সেটাও তো করা হয়নি। সুতরাং এ মামলা থেকে তাকে খালাস দেয়া হলো।’
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমদ আলী সালামি রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় স্ত্রীসহ আদালতে উপস্থিত ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন ফালু। রায়ের পর হাসিমুখে নেতাকর্মীদের অভিনন্দন গ্রহণ করেন তিনি। তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি বিএনপির এই নেতা।
২০০৭ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর মতিঝিল থানায় সাবেক সংসদ সদস্য ফালু ও তার স্ত্রী মাহবুবা সুলতানার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরের বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন: মডেল মেঘনার আটকাদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্টের রুল
এরপর ফালু ও তার স্ত্রী হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। যেকারণে দীর্ঘদিন এ মামলার বিচারকাজ বন্ধ থাকে।
পরে হাইকোর্ট ফালুর স্ত্রীর মামলা গ্রহণ করে তাকে অব্যাহতি দেন। তবে তার আবেদন খারিজ করা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ২৭ অগাস্ট মামলাটির অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, দুদকের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ পেয়ে ২০০৭ সালের ১ মার্চ আইনজীবীর মাধ্যমে সম্পদের হিসাব দাখিল করেন ফালু। মামলার তদন্তে ৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ৮৬৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ এবং ১০ কোটি ৬০ লাখ ৪২ হাজার ৫১৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণ পায় দুদক।
২০০৪ সালে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন ফালু। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। এরপরে আওয়ামী লীগ সরকার থাকার সময় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
৩ দিন আগে
সাভারে ছিনতাই হওয়া ট্রলার উদ্ধার, মামলা
সাভারে দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় গুলি ছুঁড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে যাত্রী পারাপারের দুটি ট্রলার ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ঘাট ইজারাদার সাভার পৌরসভার কর্ণপাড়া এলাকার কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন।
এদিকে ছিনতাইকৃত ট্রলার ২টি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা।
সাভার পৌরসভা থেকে ইজারা নিয়ে স্থানীয় কামরুল ইসলাম কর্নপাড়া ঘাটটি পরিচালনা আসছিলেন। ইজারাদার কামরুলের ছেলে হেদায়েতুল্লাহ বলেন, ‘অন্তর খান, মোর্শেদ খানসহ আরও কয়েকজন আমার বাবার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। গত বুধবার অন্তরসহ আরও কয়েকজন ঘাট এলাকায় এসে বাবার কাছে দাবি করা চাঁদার ৫ লাখ টাকা চান।’
‘টাকা না দেওয়ায় ইজারাদার কামরুলকে মারধর করতে থাকেন। এ সময় বাবার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অন্তর তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এরপর অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে খেয়া পারাপারের ট্রলার দুটি নিয়ে যান।’
স্থানীয়রা জানান, অন্তর ও তার সহযোগীরা যুবদল ও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ঘটনার পর গা ঢাকা দেওয়ায় অভিযুক্ত কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে গণপিটুনিতে ছিনতাইকারীর মৃত্যু, আহত ২
মামলায় অন্তর খান, মোরশেদ খান, মোশারফ খান, হৃদয় ও রনির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামি অন্তর হাতে পিস্তল নিয়ে ট্রলারের উপর দাঁড়িয়ে আছেন- এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা বলেন, ‘বুধবার বিকালে মিলন ঘাটে ট্রলার ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ সময় এক যুবককে পিস্তল হাতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে গুলি করার তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ আসামিদের ধরতে কাজ করছে।’
৬ দিন আগে
গাংনীর সাবেক এমপি ও সাবেক মেয়রসহ ২০০ আ.লীগ নেতার নামে মামলা
মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সাবেক এমপি ও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকনকে প্রধান আসামি করে দ্রুত বিচার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রেজানুল হক ইমন এ মামলা করেন। ইমন গাংনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড চৌগাছা গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
মামলায় সাবেক মো. সাহিদুজ্জামান খোকন এমপিকে প্রধান আসামি করে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গাংনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আহমেদ আলীকে দ্বিতীয় আসামি করে এজাহারনামীয় ৫০ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১ ও ২ নম্বর আসামিরা গাংনী থানা এলাকার অনলাইন জুয়াড়ীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা। এছাড়া স্থানীয় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মদদদাতা ও অর্থায়নকারী হিসেবে পরিচিত।
তাদের নির্দেশনায় ও অর্থায়নে অন্য আসামিরা খুন, চাঁদাবাজি, লুটপাট, জমি, বিল দখল ও জুয়াসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থায় বসবাস করছিলেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ১৬ বছর পর ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
এছাড়া ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর ১ থেকে ৩ নম্বর আসামির নির্দেশে ৩৬ থেকে ৪০ নম্বর আসামিরা বিএনপির গাংনী উপজেলা কার্যালয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন।
এতে কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, আসবাবপত্র ও বৈদ্যুতিক মিটার পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে এজাহারে দাবি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে অ্যাডভোকেট (আইনজীবী) সেলিম রেজা গাজী বলেন, ‘দ্রুত বিচার আদালত মামলাটি গ্রহণ করে গাংনী থানাকে নথিভুক্তের (এফআইআর) নির্দেশ দিয়েছেন।’
৬ দিন আগে
আমু-সালমান-দীপু মনি-শমী কায়সারসহ ১০ জন নতুন মামলায় গ্রেফতার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন থানার পৃথক মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, অভিনেত্রী শমী কায়সারসহ ১০ জনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
গ্রেফতার হওয়া অপর আসামিরা হলেন- ওয়ার্কাস পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, সাদেক খান, আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, সাবেক দুই আইজিপি শহীদুল হক ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এদিন সকাল ৯টায় তাদের ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় হাজির করে পুলিশ। এরপর ১০টা ১৫ মিনিটে তাদের আদালতের এজলাসে হাজির করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় বাটা-ডমিনোস-কেএফসিতে হামলা, ২৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হাজী সেলিম তার আইনজীবীর ওপর রেগে যান।
ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতেও অস্বীকৃতি জানান। পরে আইনজীবী তাকে বোঝালে তিনি স্বাক্ষর করেন।
এ বিষয়ে তার আইনজীবী প্রাণ নাথ বলেন, আমার মক্কেল কথা বলতে পারেন না। কারাগারে খাবার খেতে পারেন না। কাউকে কোনো কিছু বোঝাতে পারেন না।
এই অভিমানে আমার ওপর রেগে গিয়েছিলেন। এজন্য তিনি ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে চাইছিলেন না। কিছুক্ষণ বোঝানোর পর তিনি স্বাক্ষর করেন। তাকে বলেছি, সিস্টেমের বাইরে তো কিছু করতে পারব না।
তিনি আরও বলেন, আমার মক্কেলকে ১৯ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এখনো ১০ দিনের রিমান্ড চলমান রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, যাত্রাবাড়ী থানার সাজেদুর রহমান ওমর হত্যা মামলায় আমির হোসেন আমু, সালমান এফ রহমান, ডা. দীপু মনি, শহীদুল হক, হাজী সেলিম, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার দেখায় আদালত।
এছাড়া শাহবাগ থানার মনির হোসেন হত্যা মামলায় রাশেদ খান মেনন, ভাটারা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় আব্দুল্লাহ আল জ্যাকব, মোহাম্মদপুর থানার মামলায় সাদেক খান, উত্তরা পূর্ব থানার জুবায়ের ইউসুফ হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সারকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
সালমান এফ রহমানসহ ৬ জনকে গ্রেফতার দেখানোর মামলায় জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২১ জুলাই দুপুর আড়াইটায় যাত্রাবাড়ী থানাধীন ফুটওভার ব্রিজ নিচে ছাত্রজনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন সাজেদুর রহমান ওমর।
পরে বিকেলে আসামিদের আক্রমণে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ আগস্ট মারা যান। এ ঘটনায় এ বছরের ৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ
শমী কায়সারকে গ্রেফকার দেখানো মামলায় জানা গেছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট টঙ্গী সরকারি কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান ইউসুফ আন্দোলনে অংশ নেন।
এদিন দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিছিলটি উত্তরা পূর্ব থানাধীন আজমপুর এলাকায় পৌঁছালে আসামিদের ছোঁড়া গুলি তার বাম কাঁধে লাগলে তাৎক্ষণিক মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হন তিনি।
পরে গত ২২ আগস্ট ১১ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী জুবায়ের হাসান ইউসুফ।
৭ দিন আগে
খুলনায় বাটা-ডমিনোস-কেএফসিতে হামলা, ২৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
খুলনায় বাটা, ডমিনোস ও কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। পৃথক এ তিনটি মামলায় অন্তত দুই হাজার ৯০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮এপ্রিল) রাতে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা তিনটি দায়ের করেন ওই তিন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজাররা।
বুধবার (৯এপ্রিল) ভোরে সোনাডাঙ্গা থানার ডিউটি অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর আবু হাসান বিষয়টি ইউএনবি কে নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় তিনি জানান, ‘হামলা ভাঙচুরও লুটপাটের অভিযোগ এনে শিববাড়ি মোড়ের বাটা শোরুমে ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ১২/১৩ শ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া কেএফসির ম্যানেজার সুজন মন্ডল বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ৭/৮ শ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন। অনুরূপভাবেডমিনোস পিজ্জাতে ভাঙচুরের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শামসুল আলম আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৭/৮ শ জনকে আসামি করা হয়েছে ‘
উল্লেখ্য, গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল থেকে সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কেডিএ এভিনিউ সড়কের কেএফসি ও ডমিনোস এবং শিববাড়ি সংলগ্ন টাইগার গার্ডেন হোটেলের পাশের বাটার শো রুমে হামলা ও লুটপাট করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে হাতবোমা নিক্ষেপ
বিক্ষুব্ধ জনতা ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি, ডমিনোস, বাটার মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের শো-রুমে হামলা চালায়। এ সময় কেএফসি ভবনের গ্লাসগুলো ভাঙচুর করা হয়।
পাশাপাশি কেএফসির আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী টিভি, ফ্রিজ, ওভেন বাইরে বের করে ভাঙচুর করা হয়। অনুরূপভাবে বাটার শো রুম থেকে জুতা লুটপাট করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ভিডিও ফুটেজ এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িত অন্যান্যদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের জন্য কাজ চলছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৮ দিন আগে
সম্পত্তি নিয়ে মাকে মারধর, ২ ছেলের বিরুদ্ধে মামলা
ফেনীর ফুলগাজীতে পারিবারিক সম্পত্তি বণ্টন ও ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনায় দুই ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী মা।
উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ ধর্মপুরে ভুক্তভোগী জাহারা বেগম তার দুই ছেলে হোসেন ও মীর হোসেনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।
অভিযোগ রয়েছে, ছেলেরা তাকে মারধর করে ঘর থেকেও বের করে দিয়েছেন। একই ঘটনায় জাহারা বেগমের বড় ছেলে প্রবাসী জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী শাহেদা আক্তারকে মারধর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় গণঅধিকারের সভাপতি নুরসহ ৫ নেতার বিরুদ্ধে ২ মামলা
এ ঘটনা ফুলগাজী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) মা জাহারা বেগম তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শাহেদা আক্তারের দেবর বেলাল হোসেন তার স্বামীর কেনা সম্পত্তি দখল করে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ শুরু করেন। এতে বাঁধা দেওয়ায় ভাইয়ের স্ত্রী শাহেদা আক্তারের সঙ্গে হাতাহাতি হয়।
একই ঘটনায় মা জাহারা বেগম বড় ছেলে জয়নাল আবেদীন পক্ষে কথা বলায় বেলাল হোসেন ও মীর হোসেন ও তাদের স্ত্রীরা মিলে তাকে ঘর থেকে বের করে দেন।
স্থানীয়রা জানয়, জয়নাল আবেদীন তার আপন চাচা মুসলিম মিয়ার কাছ থেকে তার বসতঘরের সামনের সম্পত্তি কেনেন। জয়নালেনের কেনা সম্পত্তিতে জোরপূর্বক দখল করে দালান নির্মাণের জন্য ইট, বালু ও সিমেন্ট আনেন তার মেঝ ও ছোট ভাই।
এদিকে দালান নির্মাণে বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তার ভাই বেলাল হোসেন ও মীর হোসেন তাদের মায়ের থাকার ঘরে তালা লাগিয়ে দেন।
ভুক্তভোগী জাহারা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী মারা গেছেন। সম্পত্তি বণ্টনকে কেন্দ্র করে আমার ছেলেদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। এই সম্পত্তির জেরে আমার মেঝ ছেলে ও ছোট ছেলে আমাকে মারধর করেছে। আমার থাকার ঘরে তালা দিয়ে আমাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। আমার ভাই আজিজ উল্লাহ মানিকের সহযোগিতায় তারা একাধিকবার আমি ও আমার বড় ছেলের বৌয়ের ওপর হামলা চালায়। আমি আলাদতে তাদের বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী একই এলাকার মুসলিম মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া বেগম বলেন, ‘আমাদের জায়গা জোর করে দখল করে বেলাল দালান নির্মাণ করার জন্য ইট, বালু ও সিমেন্ট আনে। এ সময় বেলাল আমাকে ধাক্কা দিয়ে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তারা জয়নালের বউয়ের ওপর ও হাত তুলে এবং জাহারার ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়।’
অভিযুক্ত বেলাল হোসেন বলেন, ‘শুধুমাত্র আমার মা ও বড় ভাইয়ের কারণে আমাদের সম্পত্তি বণ্টনে করতে ব্যর্থ হয়েছি। আমার মা আমার নামে মামলা পর্যন্ত করেন। ইতোপূর্বেও আমার নামে মামলা করায় আমি ১৮ মাস জেল হাজতে ছিলাম। ‘আমি কিছু করিনি। এটি ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমি যতটুকু পাব বড় ভাই ততটুকু পাবে। আইন অনুযায়ী আমিন এনে মাপ করার পর যা পাবে, আমরা সে কথাই বলেছি।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হত্যা মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
মায়ের ওপর হামলা ও ঘর থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মা বড় ভাইয়ের কথা অনুযায়ী আমাদের নামে মামলা দিয়েছে। আমি আমার নিরাপত্তার স্বার্থে বলেছি ঝামেলা মিটে যাওয়া পর্যন্ত বড় ভাইয়ের ঘরে থাকতে। মায়ের সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। যার পক্ষপাতিত্ব করছে তার কাছে থাকতে বলেছি।’
ফুলগাজী থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে। মায়ের ঘরটির তালা ইতোমধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এখানে দুই পক্ষের আলোচনা আছে ঈদের পর আগামী ১০ এপ্রিল দুই পক্ষের সঙ্গে সামাজিকভাবে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’
২১ দিন আগে
খুলনায় গণঅধিকারের সভাপতি নুরসহ ৫ নেতার বিরুদ্ধে ২ মামলা
খুলনায় পঞ্চবীথি নামের ক্লাবের দখল উচ্ছেদের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরুসহ ৫ নেতার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে।
সোমবার(২৪ মার্চ) দিবাগত রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা মহানগরীর যুগ্ম-আহ্বায়ক নাঈম হাওলাদার বাদী হয়ে একটি এবং জেলা কমিটির সদস্য শেখ সাকিব আহমেদ বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় আরেকটি মামলা করেন।
এর মধ্যে নাঈম হাওলাদারের মামলায় আসামি করা হয়েছে ৪ জনকে। আসামিরা হলেন— নুরুল হক নূর, গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস কে রাশেদ, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. জনি ও তাইজুল ইসলাম।
শেখ সাকিব আহমেদের মামলাতেও আসামি ৪ জন। সেখানে রাশেদ, জনির সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজ শেখ রুবেল ও হিরোন নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গত ২১ মার্চ এস কে রাশেদ বাদী হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা জেলা কমিটির সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী, যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন ও মহররম মাহীম, যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক শেখ রাফসান জানি ও কেন্দ্রীয় সদস্য রুমি রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় হাজতির প্রহারে এসআই আহত
স্থানীয়রা জানান, নগরীর শান্তিধাম মোড়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সরকারি ভবনে পঞ্চবীথি ক্রীড়া চক্র নামে একটি ক্লাব ছিল। গত ২৭ জানুয়ারি ভবনটি দখল করে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয় স্থাপন করা হয়। এর নেতৃত্বে ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক শেখ রাশিদুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে রাতেই রাশেদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু বহিষ্কারের পরেও এস কে রাশেদ ওই ভবনে বসেই দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। সম্প্রতি সেখানে তাদের আরও কয়েকটি অঙ্গ সংগঠনের সাইনবোর্ড ঝোলানো হয়।
এর আগে গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যার পর থেকেই ভবনটির দখল উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে বার্তা ছড়ান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির খুলনার নেতা-কর্মীরা। রাত ৯টার দিকে তারা ভবন উদ্ধার করতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, দুইপক্ষই পৃথক মামলা করেছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
২৩ দিন আগে
কুমিল্লায় হত্যা মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
হত্যা মামলায় কুমিল্লায় মোহাম্মদ কাইয়ুম নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ ফরিদা ইয়াসমিনের আদালত এই রায় দিয়েছেন।
এছাড়াও কাইয়ুমকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি দেবিদ্বার থানার কালু মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় আ.লীগ নেতা হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন
রায়ে বলা হয়েছে, আসামি এই দন্ডাদেশের আগে যে সময়টা হাজতবাস করেছে, তা এই কারাদণ্ড থেকে বাদ যাবে।
মামলার এজাহার ও আসামির জবানবন্দি থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি রাত ১২টায় ঘরের গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে মুর্শিদা বেগম (৭৫) নামের এক বৃদ্ধাকে হাত-পা বেঁধে মুখে সাদা স্কচটেপ লাগিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে এই ঘটনায় কাইয়ুমকে আসামি করে মামলা করা হয়।
২৩ দিন আগে