মামলা
কর্মীদের অর্থ আত্মসাত: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা চলবে
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের টাকা আত্মসাতের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা রিভিশন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এক বছরের মধ্যে মামলার বিচার শেষ করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৪ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকতার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ টেলিকমের টাকা আত্মসাৎ: অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসের আবেদন
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এছাড়া বুধবারের এই আদেশের ফলে ড. ইউনূসসহ সাতজনের বিরুদ্ধে এই মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী।
গত ১২ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এই আদেশ দেন। পরে অভিযোগ গঠনের এই আদেশ বাতিল চেয়ে গত ৮ জুলাই ড. মুহাম্মদ ইউনূস হাইকোর্টে আবেদন জানান। আবেদনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চাওয়া হয়। ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন এ আবেদন দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৩০ মে মামলা করে দুদক।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ টেলিকমের টাকা আত্মসাৎ: অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসের আবেদন
ড. ইউনূসকে তার বিষয় নিয়ে বিতর্কের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
কৃষকের কিডনি চুরি, দুই চিকিৎসকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে প্রতারণার মাধ্যমে কিডনি চুরির অভিযোগে ডা. রবিউল হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মো. আবু বক্কর নামে এক কৃষক।
রবিবার (১৪ জুলাই) বিকালে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান জিনিয়ার আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়।
আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. রবিউল হোসেন, তার স্ত্রী খালেদা বেগম এবং তাদের ছেলে ডা. রাজিব হোসেন।
আরও পড়ুন: শিশু রিয়াদ হত্যা মামলা: ২৪ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন
আসামিরা মীরসরাই উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও নগরীর খুলশী থানার চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স স্টাফ কোয়াটারে বসবাস করেন।
মামলার বাদীর আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রতারণার মাধ্যমে এক কৃষকের কিডনি চুরির অভিযোগে দুই চিকিৎসকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মামলার বাদী মো. আবু বক্কর গ্রামে কৃষিকাজ ও পশু লালন-পালন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ডা. রাজিব হোসেনের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় ২০১২ সালে চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স স্টাফ কোয়াটারে বাসায় নিয়ে গিয়ে ডা. রবিউলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় সিঙ্গাপুরে ডা. রবিউলের চিকিৎসা করার জন্য তাদের একজন অ্যাটেন্ডেন্ট প্রয়োজন বলে জানান আবু বক্করকে। ২০১২ সালে ১০ মার্চ ডা. রবিউল হোসেন, তার স্ত্রী খালেদা বেগম, ডা. রাজীব হোসেনসহ তিনি সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে পৌঁছে ডা. রবিউলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ডা. রাজিব হোসেনের চিকিৎসার জন্য আবু বক্করকে টিস্যু দেওয়ার অনুরোধ করেন ডা. রাজিব। একই বছরের ৩ এপ্রিল বক্করের অপারেশন সম্পন্ন করে ৯ এপ্রিল বক্করকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
১৫ এপ্রিল বক্করকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাকে আসামিদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠান চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সে চাকরি দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফিজিক্যাল আনফিট দেখিয়ে বক্করকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
এরপর থেকে বক্করের শারীরিক সমস্যা হলে ২০২৪ সালের ২১ মে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি আলট্রাসনোগ্রাফি করান। পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে তাকে চিকিৎসক জানান, তার ডান কিডনি নেই। সার্জারির মাধ্যমে তার ডান কিডনি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এরপর আসামিদের বিষয়টি বললে, তারা কাউকে বিষয়টি না জানাতে অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: খুলনা শিপইয়ার্ডের সাবেক এমডিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
শাহবাগ থানায় কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা
খুলনা শিপইয়ার্ডের সাবেক এমডিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
খুলনা শিপইয়ার্ডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত ইমরানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে লঞ্চ বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রবিবার (১৪ জুলাই) মামলাটি দায়ের করেন দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান শুভ্র।
আরও পড়ুন: পূর্ব রাজাবাজারে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যুতে গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
মামলার আসামিরা হলেন- খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত ইমরান, বিক্রির দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য, খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের সাবেক কমান্ডার এবং জেনারেল ম্যানেজার (ফাইনান্স) মোহাম্মদ মতিউর রহমান, সাবেক কমান্ডার ও ভারপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার (অ্যাডমিন) এ এম রানা, সাবেক ক্যাপ্টেন ও জি এম (প্রোডাকশন) আনিছুর রহমান মোল্লা ও মেসার্স এস.বি কনস্ট্রাকশনের মালিক মো. সাইদুজ্জামান সাইদ।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের এমভি সৃজনী লঞ্চ দাখিল করে সর্বোচ্চ দর ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার ৫৫০ টাকায় বিক্রি না করে সংশোধিত দর ২৫ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। এতে ১০ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫০ টাকা আত্মসাৎ করার অপরাধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাহবাগ থানায় কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা
শিশু রিয়াদ হত্যা মামলা: ২৪ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে কলেজ শিক্ষক হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটের পাঁচবিবির কলেজ শিক্ষক আলী হাসান বাবু হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. নূরুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আসাদুল, মজিবর রহমান, তোফাজ্জল হোসেন, আব্দুল হান্নান, আনিছুর, কালাম, খায়রুল, বাবু, সোহেল, মোর্শেদুল হাসান মশিউর ও আজিজুল।
দণ্ডপ্রাপ্ত মোর্শেদুল হাসান মশিউর ও আজিজুল ছাড়া বাকিরা পলাতক।
আরও পড়ুন: নাটোরে হেরোইন পাচার মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা যায়, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কাঁকড়া গ্রামের আবুল কাশেম মণ্ডলের ছেলে আলী হাসান বাবু গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ শহরগাছি আদর্শ মহাবিদ্যালের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তিনি পাইকরদরিয়া গ্রামে বিভিন্ন স্টক ব্যবসাও করতেন।
২০০৯ সালের ১৭ জুন রাতে তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে কাঁকড়া সেতুর কাছে হামলার শিকার হন। ব্যবসার টাকা ছিনতাই করতে গলায় রশি পেঁচিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে তাকে হত্যা করা হয়। পরে লাশ নদীতে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
পরের দিন এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই আবু বক্কর পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে মেয়েকে ধর্ষণ, বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে কবিরাজ সুলাল চৌধুরী হত্যা মামলায় ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরেকজনকে খালাস দেওয়া হয়। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামির ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এইচ এম শফিকুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
জেলার রাউজান উপজেলায় ৮ বছর আগে কবিরাজ সুলাল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়েছিল।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— রাউজান থানার চিকদাইর গ্রামের পরিমল চৌধুরীর ছেলে মিঠু চৌধুরী, একই এলাকার মৃত সন্তু চৌধুরীর ছেলে সুমন চৌধুরী (৩৫), আবদুর রহমান চৌকিদারের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৩৫) এবং শাহ আলমের ছেলে এরশাদ হোসেন (৩৫)।
আরও পড়ুন: নাটোরে হেরোইন পাচার মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন— রাউজান থানার চিকদাইর গ্রামের নীল কমল কবিরাজের বাড়ির ডা. পায়রিণ চৌধুরীর ছেলে সুদ্বীপ চৌধুরী প্রকাশ ও সঞ্জিত চৌধুরী।
আর খালাস পেয়েছেন রাউজান থানার চিকদাইর মুন্সী পাড়ার নুর মোহাম্মাদের ছেলে মো. ইলিয়াস প্রকাশ ইলু (৩০)।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, সুলাল চৌধুরী পেশায় কবিরাজ ছিলেন। তিনি রাউজান উপজেলার আজাদী বাজারের যুগিরহাট চাউল বাজারে অভয়া উৎঘালয় নামে একটি ফার্মেসি চালাতেন। ২০১৬ সালের ২৫ জুন রাত ৯টার দিকে ফার্মেসির কাজ শেষে রিকশায় বাড়ি ফেরার পথে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রাস্তার পাশের ডোবায় ফেলে যায় অভিযুক্তরা। ওইদিন রাত ১০টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার তিনদিন পর ভিকটিমের ছেলে একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে রাউজান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ছয়মাস পর ২৭ ডিসেম্বর মোট ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুদীপ কান্তি নাথ বলেন, ‘দীর্ঘ ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষীর ভিত্তিতে আদালত এই রায় দিয়েছেন। এসময় একজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিনজন পলাতক।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে মেয়েকে ধর্ষণ, বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড
নাটোরে হেরোইন পাচার মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরের বড়াইগ্রামে হেরোইন পাচার মামলার রায়ে জুয়েল আলী নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. মাইনুদ্দীন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
অতিরিক্ত পিপি মিজানুর রহমান জানান, ২০২১ সালের ১৯ জুন রাতে নাটোরের বড়াইগ্রামে রয়না পাম্প এলাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে ৪০০ গ্রাম হেরোইনসহ চালক জুয়েলকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা ও অভিযোগপত্র দাখিলের পর প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
রায়ে জুয়েলকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে জেএমবির ২ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধস মামলার রায় ১০ জুলাই
চট্টগ্রামে বহদ্দারহাটে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জনের মৃত্যুর মামলায় রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ১০ জুলাই। এই মামলার আট আসামির সবাই ঠিকাদার মীর আখতার-পারিসার (জেভি) তৎকালীন কর্মী।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞা এ আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারি ওমর ফুয়াদ।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই যুবকের মৃত্যু
আসামিরা হলেন- প্রকল্প ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন, মনজুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবদুল জলিল, আমিনুর রহমান, আবদুল হাই, মোশাররফ হোসেন, মান নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলী শাহজাহান আলী ও রফিকুল ইসলাম।
এদের মধ্যে রফিকুল ইসলামের নাম মামলার এজাহারে ছিল না। তদন্ত শেষে পুলিশ তার নাম অভিযোগপত্রে যুক্ত করেন।
ওমর ফুয়াদ বলেন, ‘মোট ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাতজন আসামি সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাত কর্মদিবসে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। এরপর আদালত ১০ জুলাই রায়ের দিন ধার্য করেছেন।’
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ভেঙে ১৩ জন নিহত হন। আহত হন অর্ধশতাধিক।
ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ করছিল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। তখন সিডিএর চেয়ারম্যান ছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুস ছালাম।
এ ঘটনার পর ২৬ নভেম্বর নগরীর চান্দগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। মামলা করেছিলেন চান্দগাঁও থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ।
মামলায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৫ জনকে আসামি করা হয়।
এরা হলেন- প্রকল্প পরিচালক সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী তানজিব হোসেন ও উপসহকারী প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
এছাড়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মীর আক্তার অ্যান্ড পারিশা ট্রেড সিস্টেমসের (জেভি) ১০ জন এবং বেসরকারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএআরএম অ্যাসোসিয়েটস অ্যান্ড ডিপিএমের ১২ জনকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর চান্দগাঁও থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম শহীদুল ইসলাম আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এতে সিডিএর তিন কর্মকর্তা, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ তিনজন এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মতিনসহ ১২ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
শরীয়তপুরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
তুচ্ছ ঘটনায় মামলা করা বন্ধ না হলে জট কমানো অসম্ভব: প্রধান বিচারপতি
তুচ্ছ ঘটনায় মামলা দায়ের বন্ধ না হলে মামলাজট কমানো সম্ভব না বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর নতুন করা মামলার ২০ শতাংশ থেকে যায়। বিচারকরা সাধ্যমত চেষ্টা করেও সব মামলা শেষ করতে পারেন না।’
আরও পড়ুন: ন্যায়বিচার পাওয়া প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার: প্রধান বিচারপতি
সোমবার সকালে (২৫ জুন) নাটোর আদালত প্রাঙ্গণে বিচার প্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য নির্মিত ‘ন্যায়কুঞ্জ’র উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর পুরাতন মামলার সঙ্গে যোগ হয় নতুন মামলা। ফলে মামলাজট থেকেই যায়। এই মামলা নিষ্পত্তি করতে হলে দ্বিগুন বিচারক নিয়োগ করতে হবে। যেটা সম্ভব নয়। তাই জট কমাতে ছোট-খাটো বিষয় সমাজিকভাবে নিষ্পত্তি করতে হবে।’
এজন্য গণমাধ্যমকর্মীসহ সাবাইকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বাবান জানান প্রধান বিচারপতি।
এছাড়া একই রকম মামলা একসঙ্গে করে নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস, জেলা ও দায়রা জজ অম্লান কুসুম জিষ্ণু, জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভুঞাঁ, পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামকসহ অন্যান্য বিচারকরা।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে জুডিশিয়ালি স্মার্ট হওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সৎ হতে হবে: প্রধান বিচারপতি
চাঁদপুরে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার, ৫ জেলেকে মামলা
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক ৬ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা এবং অপ্রাপ্তবয়স্ককে মুছলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানান চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান।
যাদের মামলা দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- মো. তাজুল ইসলাম (৫৫), মো. মিজান মৈসাল (১৯), মো. জুম্মুন হাওলাদার (২০), আসলাম লস্কর (১৯), মো. রাশেদ মিজি (২০)। তাদের সবার বাড়ি শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় বলে তারা জানান।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার, ১২ জেলেকে মামলা
ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিঠুন বালা ও সঙ্গীয় ফোর্স শুক্রবার নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে মেঘনা নদীতে সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের মিনি কক্সবাজার ও বাঁশগাড়ী নামক এলাকার মাঝমাঝি স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে মাছ ধরার কারণে এসব জেলেদের গ্রেপ্তার করা হয়। তখন জেলেদের হেফাজতে থাকে দুটি কাঠের নৌকা এবং ১ হাজার ৫০০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তার ৫ জন জেলের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা এবং বাকি একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
জব্দ কারেন্ট জাল ও দুটি নৌকা মামলার আলামত হিসেবে নৌ থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কারেন্ট জালের উৎস নির্মূল করতে হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
চোরাচালান মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিরন মো. ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দায়ের করা চোরাচালানের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তাকে প্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে ১৯৭ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বুধবার (১২ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজিবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান।
পুলিশ সুত্র জানায়, ২০১২ সালে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে বিজিবি।
সেই মামলার ওয়ারেন্টে তাকে গ্রেপ্তার করে রাজিবপুর থানা পুলিশ।
রাজিবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, চোরাচালান মামলার ওয়ারেন্টে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরের পর তাকে কুড়িগ্রাম আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি আশিকুর রহমান।
আরও পড়ুন: ইউসিএলএ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে আবারও বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ২৭