মামলা
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আট বছর আগে রাজধানীর বাড্ডায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় নাছির হাওলাদার নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি নাছিরকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাছির জামিনে ছিলেন। গত ৩০ আগস্ট যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের দিনে আদালত জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বুধবার রায় ঘোষণার আগে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। নাছির ঝালকাঠির কোলাবানিয়ার মদিপুর গ্রামের মজনু হাওলাদারের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ (অরেঞ্জ) এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, আসামি ও ভুক্তভোগীর পরিবার বাড্ডার সেকেন্দারবাগ এলাকায় একই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভুক্তভোগীর মা বিভিন্ন বাসায় কাজ করেন। বিভিন্ন সময় নাছির ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন।
বিষয়টি পরিবারকে জানায় সেই ছাত্রী। তার পরিবার বিষয়টি বাড়ির ম্যানেজারকে জানালে তিনি নাছিরকে মৌখিকভাকে সতর্ক করেন। তারপরও নাছির ওই শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করেন। ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল সকাল ১১টায় ভুক্তভোগী কলপাড়ে যায়। সেখান থেকে ফেরার সময় নাছির ধরে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা ১৫ এপ্রিল বাড্ডা থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক মোশাররফ হোসেন।
২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বাবুলসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে করা ডিএসএ মামলা সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ আদালতের
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ
কুষ্টিয়ায় ডাকাতি মামলায় ৯ আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় ডাকাতি মামলায় ৯ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে কুষ্টিয়ার বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- জাকির, উল্লাস, রফিক, তৈয়মুর ইসলাম, পিচ্চি মনির, সাগর, তামিম ইসলাম, বিপুল ও খন্দকার।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ মামলায় সাবেক ইউপি মেম্বারের ২৬ বছরের কারাদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে ২২ জুলাই দিনগত রাত ২টার দিকে একদল ডাকাত কুষ্টিয়ার চৌড়হাস মতিমিয়া রেল গেইট সংলগ্ন এলাকার এক বসতবাড়িতে হামলা করে।
এসময় বাদী ফরিদা ইসলামসহ বাড়ির সদস্যদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্বর্ণালংকার, টাকা, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। একই সঙ্গে সবাইকে বেঁধে রেখে বাড়ির আসবাবপত্র নিয়ে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ওই দিন দুপুরে কুষ্টিয়া মডেল থানায় বেগম ফরিদা ইসলাম বাদী হয়ে সন্দেহজনক তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি ডাকাতি মামলা করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই হারাধন কুণ্ডু মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বুধবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিচারকের ওপর হামলা: নেতার ছেলের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ২ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুলের জামিন স্থগিত
জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি কারাবন্দি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বুধবার এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আগামী ২০ নভেম্বর শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতা বড় মনিরের জামিন স্থগিত, নবজাতকের ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ
এর আগে ওই মামলায় নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে চলতি মাসে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন মাহমুদুল আলম। শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দিয়ে মাহমুদুলকে ছয় মাসের জামিন দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ মঙ্গলবার আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম। আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ১৪ জুন রাতে বকশীগঞ্জে বাসায় ফেরার পথে উপজেলার পাটহাটি এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন সাংবাদিক নাদিম। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ জুন বিকাল ৩টায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ১৮ জুন সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় প্রধান আসামি বাবুর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালেরবার্তি গ্রামের ফাহিম ফয়সাল রিফাত, নামাপাড়া গ্রামের ননির ছেলে এমডি রাকিবিল্লাহ রাকিব, আরচাকান্দির গাজী আমর আলী মেম্বার, কাগমারীপাড়া গ্রামের সাফিজল হকের ছেলে শরীফ মিয়া, মালিরচর তকিরপাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে লিপন মিয়া, পূর্ব কামালেরবার্তী গ্রামের মফিজল হকের ছেলে মনিরুজ্জামান মনির, নামাপাড়ার শেখ ফরিদ, টাঙ্গারীপাড়ার কামালের ছেলে ওমর ফারুক, বটতলী সাধুরপাড়ার আবুল কালামের ছেলে রুবেল মিয়া, খেতারচর দক্ষিণপাড়ার জহুরুল হকের ছেলে সুরুজ মিয়া আইড়মারি শান্তি নগরের জলিলের ছেলে বাদশা মিয়া, মদনেরচরের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আবু সাঈদ, আরচাকান্দির মজিবুর রহমানের ছেলে ইমান আলী, কুতুবের চরের সাবেক মেম্বার রফিকুল ইসলাম ও সুর্য্যনগর গ্রামের কারিমুল মাস্টারের ছেলে আমান উল্লাহ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর
আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী’র জামিন মঞ্জুর ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা
‘ন্যায্য মজুরি না দেওয়া ও শ্রম আইন লঙ্ঘনের’ অভিযোগে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ফার্ম ম্যানেজার ফারুকুল ইসলাম বাদী হয়ে রংপুর শ্রম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতাসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী শামীম আল মামুন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে 'হাতিয়ার' হিসেবে শ্রম আইনের ব্যবহার বন্ধের আহ্বান অ্যামনেস্টির
আইনজীবী বলেন, ‘ড. ইউনূসসহ কৃষি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বাদীকে ৯ লাখ ৭৫ হাজার ১২৫ টাকা মজুরি, গ্র্যাচুইটি ও উপার্জিত ছুটির টাকা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বাদীর ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা হয়নি।’
ড. ইউনূস ও গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ বাদীকে বিভিন্ন সময় চাপ দিয়ে অবসরে যেতে বাধ্য করে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রতিহিংসাবশত ড. ইউনূসকে কারাগারে পাঠানোর ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ ভাইসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের আক্তারুজ্জামান হত্যা মামলায় ৩ ভাইসহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সায়েদুর রহমান খান এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
এসময় আসামি আল আমিন ও এনামুল হক ছাড়া অন্য পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুরের তিন ছেলে আসাদ মিয়া, আবুল কাশেম, ফালান মিয়া ও একই এলাকার রফিকের ছেলে আল-আমিন, এনামুল হক, সুমন মিয়া ও মাসুদ।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আল-আমিন ও এনামুল হক ছাড়া বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর বিকালে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের আক্তারুজ্জামান কাওনা বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন।
এ সময় বাড়ির কাছে পথে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আসামিরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে উদ্ধার কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আশরাফুন্নেছা বাদী হয়ে ২৯ ডিসেম্বর ৭ জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৯ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে আদালকে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা জেলা সিআইডির সহকারি পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ২ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
নাটোরে ধর্ষণ মামলায় সাবেক ইউপি মেম্বারের ২৬ বছরের কারাদণ্ড
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় চাকরি দেওয়ার নামে নারীকে ধর্ষণের দায়ে সাবেক এক ইইউপি মেম্বারকে ২৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, শিশুধর্ষণ ও হত্যার দায়ে অপর এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে যুবক খুন, ৩ ভাইয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
সরকারি কৌসুলী আনিসুর রহমন জানান, বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর গ্রামের তৎকালিন ইউপি মেম্বার সাইফুল ইসলাম তার গ্রামের তালাকপ্রাপ্ত এক নারীকে গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২০০৩ সালের ১৪ আক্টোবর ঢাকার একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে।
তিনি জানান, এলাকায় ফিরে ভুক্তভোগী মামলা করলে বিচারক সাইফুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরেক ধারায় আরও ১৪ বছর কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সাজা তাকে পর্যায়ক্রমে ভোগ করতে হবে।
তিনি আরও জানান, এদিকে একই আদালত ২০০৬ সালে ২২ জুন একই উপজেলার খাটখৈর গ্রামের ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে আব্দুল কুদ্দুস নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। আব্দুল কুদ্দুস পলাতক রয়েছে।
তিনি জানান, জরিমানার অর্থ আদায় করে ভিকটিম ও তার পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ইমরান খানের দুর্নীতির মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত
আইসিটি মামলায় ‘অধিকারের’ আদিলুর ও নাসিরের ২ বছরের কারাদণ্ড
২০১৩ সালে মতিঝিলে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে অভিযান নিয়ে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্র ও সংগঠনটির পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের ২ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদণ্ড ভোগের আদেশ দেওয়া হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে দায়ের করা এটিই প্রথম মামলা।
২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে ৬১ জন নিহত হয় দাবি করে অধিকার তাদের ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ওই বছরের ১০ আগস্ট গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম। পরে জিডিটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের তিন বছরের কারাদণ্ড
ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ডিবির পরিদর্শক আশরাফুল আলম আদিলুর ও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৪ সালে আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
২৪ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হওয়ার পর চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার কথা ছিল।
রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ওই দিন রায় ঘোষণার তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।
এর আগে এ মামলায় জামিন পান আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দিন।
ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বিবৃতি
ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস মানবাধিকার সংগঠন 'অধিকারের' সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে আজকের রায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং মনে করছে এটি মানবাধিকারকর্মী ও সুশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক ভূমিকা পালনের সদিচ্ছাকে আরও দুর্বল করে দিতে পারে।
যেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, অধিকার কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে এবং প্রতিবেদন তৈরি করেছে। গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ হিসেবে আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজকে অব্যাহতভাবে সমর্থন করি এবং মৌলিক অধিকার নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টার বিরোধিতা করি।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ানের ৩ বছরের কারাদণ্ড
দুর্নীতি মামলায় তারেকের ৯ বছর, জোবাইদার ৩ বছরের কারাদণ্ড
ফিলিপাইনের নোবেল বিজয়ী মারিয়া রেসা কর ফাঁকির মামলায় খালাস
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মারিয়া রেসা মঙ্গলবার চূড়ান্ত কর ফাঁকির মামলায় খালাস পেয়েছেন, যদিও তিনি এখনও দু’টি অবশিষ্ট আইনি মামলার মুখোমুখি রয়েছেন।
রেসা ও তার অনলাইন সংবাদ সংস্থা র্যাপলারের বিরুদ্ধে ৫টি কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হলেও গত জানুয়ারিতে একটি আদালত এর মধ্য থেকে ৪টি অভিযোগ থেকে খালাস দেন। অন্য একটি আদালত পঞ্চম অভিযোগের শুনানি করে মঙ্গলবার তাকে খালাস দেন।
আদালত প্রাঙ্গনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সত্যের জয়, ন্যায়বিচারের জয়।’
রেসা ও রুশ সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতোভ তাদের সংবাদ সংস্থাগুলোর অস্তিত্বের জন্য লড়াই করে এবং তাদের বন্ধ করার সরকারি প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার প্রচেষ্টার জন্য ২০২১ সালের নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন।
তিনি বলেছিলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল কারণ র্যাপলার অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে দুতার্তে'র নৃশংস অভিযানের সমালোচনা করেছিলেন, যার ফলে হাজার হাজার ক্ষুদ্র মাদক সন্দেহভাজন নিহত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মানুষের উন্নত ভবিষ্যৎ-শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ার পথ হলো শিক্ষা: জাতিসংঘ মহাসচিব
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এই অভিযানকে মানবতার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অপরাধ হিসেবে তদন্ত করছেন।
র্যাপলার করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় দুতার্তে'র সমালোচনা করেন, যার মধ্যে রয়েছে দীর্ঘায়িত লকডাউন, যা দারিদ্র্যকে আরও গভীর করে তোলে, দেশের অন্যতম খারাপ মন্দা সৃষ্টি করে এবং সরকারি চিকিৎসা কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করে।
তিনি আরও বলেন, ফিলিপাইনের নতুন নেতা ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের অধীনে ‘ভয় দূর করা’ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, যিনি ১৯৮৬ সালে সেনা-সমর্থিত ‘জনশক্তি’ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের নামপুত্র।
রেসা এখনও অনলাইন মানহানির দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করছেন, যখন র্যাপলার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের জারি করা একটি বন্ধের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনার বিশ্বাস থাকতে হবে। এই খালাস এখন বিচার ব্যবস্থা চালিয়ে যাওয়ার, রাজনৈতিক হয়রানি সত্ত্বেও, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ সত্ত্বেও আদালতে আত্মসমর্পণ করার আমাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করেছে। এটি দেখায় যে আদালত ব্যবস্থা কাজ করে এবং আমরা আশা করি বাকি অভিযোগগুলো খারিজ হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: ইমরান খানের দুর্নীতির মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত
গোপনে আদানি গ্রুপের বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন প্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা
দুর্নীতি মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান কারাগারে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান।
আরও পড়ুন: এক দফার আন্দোলন: শনিবার ঢাকায় গণমিছিল করবে বিএনপি
আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আমানউল্লাহ আমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আদালত এলাকা ও এর আশেপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এ সময় সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় জমান বিএনপি সমর্থকরা। পরে পুলিশ তাদের আদালত থেকে বের করে দেয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর একই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ৫ সেপ্টেম্বর চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ক্যান্সারের রোগী বিবেচনায় ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে জামিন দেন। পরে তিনি কারামুক্ত হন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় শনিবার গণমিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা দল
অনির্বাচিত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন মেয়র-কমিশনারদের উদাসীনতায় ডেঙ্গুর খারাপ পরিস্থিতি: বিএনপি
চবিতে ভাঙচুরের ঘটনায় ২ মামলা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপাচার্যের বাসভবন এবং বাস ভাঙচুরের ঘটনায় দু’টি মামলা হয়েছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে হাটহাজারী থানায় এসব মামলা হয়। একটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মো. আবদুর রাজ্জাক এবং অন্যটিতে বাদী হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, ৭ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় চবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটহাজারী থানায় দু’টি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। চাঁদা দাবি ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে।
মামলা দু’টিতে ৭ জন করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন এমনটাই জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চবির শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহত ২০, রাতভর উত্তাল ক্যাম্পাস
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী রাত সাড়ে ৮টার শাটল ট্রেনের ছাদে হেলে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কায় ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর পর শিক্ষার্থীরা ঘটনার প্রতিবাদে ফটক আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালাতে দেখা যায়। পরবর্তীতে একজনের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যান। একপর্যায়ে তারা উপাচার্যের ৩ তলা বাসভবনে ভাঙচুর শুরু করেন। ফুলের টব থেকে শুরু করে বিভিন্ন আসবাব, কক্ষ, জানালায় ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় আসবাব বের করে বাসভবনের উঠানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
আরও পড়ুন: অতি বৃষ্টির কারণে চবির ২২ বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত
উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করার পরপরই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পরিবহন দপ্তরে মিছিল নিয়ে যান। পরে সেখানে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য রাখা অন্তত ৫০টি বাস ভাঙচুর করেন। পরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক ক্লাবের কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করেন। এরপর শাটল ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
পর দিন শুক্রবার বিকালে উপাচার্যের দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনায় ৩টি পৃথক মামলা করা হবে বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। তবে সংবাদ সম্মেলনের ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পর ২টি মামলা দায়ের করার কথা নিশ্চিত করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চবি ফটকে তালা দিয়ে রাতে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ