তিনি বলেন, ‘সময় এসেছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত মূল আসামিদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেয়ার। এ ক্ষেত্রে উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করা গুরুত্বপূর্ণ।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দেশ শাসনকারী সরকার হত্যাকারীদের সুরক্ষা দিয়েছে এবং শাস্তির জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সে সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা- বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
২০১০ সালের জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনি- সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা, একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যৃদণ্ড কার্যকর করা হয়। অপর আসামি আজিজ পাশা ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতে মারা যায়।
ছয় পলাতক হত্যাকারী- নূর চৌধুরী বর্তমানে কানাডা ও রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। অন্য চার পলাতক হত্যাকারী হলেন খন্দকার আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, আব্দুল মজিদ ও রিসালদার মোসলেহউদ্দিন খান।
ঢাবির সাবেক উপাচার্য বলেন, ‘আমরা (হত্যাকারীদের খুঁজে বের করার জন্য) উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠনের দাবি জানাচ্ছি।’
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ মাহফুজুল ইসলাম।