বন্যাদুর্গত নোয়াখালী ও খাগড়াছড়ি জেলায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এতে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে।
নতুন মৃতদের মধ্যে নোয়াখালীর দুইজন ও খাগড়াছড়ির একজন।
এ পর্যন্ত কুমিল্লায় ছয়জন, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর পাঁচজন করে, কক্সবাজারের তিনজন এবং ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়ি ও লক্ষ্মীপুরে একজন করে মারা গেছেন।
এছাড়া মৌলভীবাজারে দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সহায়তায় একদিনের বেতন দিচ্ছে ইউএনবির কর্মীরা
বন্যাকবলিত ১১টি জেলার ৭৪ উপজেলায় সোমবার দুপুর পর্যন্ত ১২ লাখের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছেন।
ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারে বন্যায় ৫ লাখ ১ হাজার ২০৪ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৫৪৫টি পৌরসভা বা ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮টি।
এরই মধ্যে ৩ হাজার ৮৩৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৫২৩ জন। এছাড়াও ২৮ হাজার ৯০৭টি গৃহপালিত পশু রাখা হয়েছে।
বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা বরাদ্দ, ২০ হাজার ৬৫০ টন চাল, ১৫ হাজার শুকনো খাবার বা অন্যান্য খাবারের প্যাকেট এবং শিশু খাদ্য ও পশুর খাদ্যে ৩৫ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বন্যাকবলিত এলাকায় মোট ৬৪৫টি মেডিকেল টিম চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী জেলায় মোবাইল ও টেলিযোগাযোগ সেবা পুনরায় চালু করা হয়েছে। এছাড়াও ফিল্ড হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের দেওয়া ত্রাণসামগ্রী বিতরণ চলছে।
জেলা প্রশাসকদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, মেডিকেল টিম ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কমছে প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি