সকালে নগরীর গরিয়ারপাড় এলাকার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের তেতুলতলা নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বরিশাল সদর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. ইউনুস আলী।
নিহতরা হলেন- ঝালকাঠির বাসিন্দা ও বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের মাস্টার্সের গণিত প্রথম বর্ষের ছাত্রী শীলা হালদার (২৪), বাকেরগঞ্জের ইউনুস সিকদারের ছেলে ও নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকার বাসিন্দা রং মিস্ত্রি মানিক সিকদার (৪০), নগরীর ২৯নং ওয়ার্ডস্থ কাশিপুর এলাকার এনছাফ আলীর ছেলে অটোরিক্সা চালক খোকন (৩৫), মাহিন্দ্রা চালক কাশিপুর ইউনিয়নের গনপাড়া এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে সোহেল (২৫), পারভীন (৩৫) এবং ৫০ বছর বয়সী এক অজ্ঞাত নারী।
ইউনুস আলী জানান, মাহেন্দ্রাটি যাত্রী নিয়ে বরিশাল থেকে বানারীপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। তেতুলতলায় স্বরূপকাঠি থেকে বরিশালগামী ‘দুর্জয় পরিবহন’ নামে একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মাহেন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাহেন্দ্রাটি দুমড়ে মুচড়ে রাস্তার পাশে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই কলেজছাত্রী শীলার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এসময় জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মানিক ও খোকনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহিন্দ্রা চালক সোহেল, পারভীন ও ৫০ বছর বয়সী অজ্ঞাত নারী মারা যান।
বাকি আহতদের হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তারা হলেন- দুলাল হাওলাদার (৩৫), তন্নি আক্তার (১৭), শিশু তাইয়ুম (৭), সুমন (২৫) ও ৭ বছর বয়সী আরও এক শিশু।
বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি রাস্তার ওপরে পড়ে থাকায় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে আধা ঘণ্টার মতো যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় বাসটি উদ্ধার করা হলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
তিনি আরও জানান, বাস চালক পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও মাহেন্দ্রা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।