বলপূর্বক গুমের প্রতিটি ঘটনা তদন্তের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য প্রটেকশন অব অল পারসনস ফ্রম এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সে সই করেছে বাংলাদেশ।
এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এখন ৯টি মূল মানবাধিকার চুক্তির সবগুলোতেই অংশীদার হলো, যার মধ্য দিয়ে সবার জন্য স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখার জনগণের আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।
২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য প্রটেকশন অব অল পারসনস ফ্রম এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স গৃহীত হয়।
বাংলাদেশ সরকার এই কনভেনশন বিবেচনা করে তা মেনে নিয়েছে এবং বিশ্বস্ততার সঙ্গে এতে বর্ণিত শর্তাবলী সম্পাদন ও বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে বলে ঘোষণা করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার অধ্যাপক ইউনূসের সই করা এক নথিতে বলা হয়, 'আমি ২৯ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ঢাকায় এই সংযুক্তির দলিলটিতে সই করেছি।’
উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় প্রধান উপদেষ্টা চুক্তিতে সই করেন।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’
৩০ আগস্ট গুমের শিকার ব্যক্তিদের জন্য আন্তর্জাতিক দিবসের একদিন আগে এই সংযুক্তি পত্রে সই করলেন ড. ইউনূস।
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিটি গুমের ঘটনা তদন্তে এ সপ্তাহের শুরুতে একটি কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
সমাজে আতঙ্ক ছড়ানোর কৌশল হিসেবে প্রায়ই জোরপূর্বক গুমকে ব্যবহার করা হয়।
জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সস ১৯৮০ সাল থেকে ১১০টি দেশে ৫৯ হাজারেরও বেশি 'জোরপূর্বক গুমের' শিকার হওয়ার রেকর্ড প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় এমন সব দেশের নাম উঠে এসেছে যারা নিজেদের ‘মানবাধিকারের মশাল বহনকারী’ বলে দাবি করে।