বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির পর এ আদেশ দেয় হয় এবং তার (বজলুর) আবেদন আদালত খোলার পর নিয়মিত বেঞ্চে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়।
আদালতে বজলুর রশীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মেজবাহুল ইসলাম আসিফ, দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশী আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট বজলুর রশীদের জামিন আবেদন খারিজ করে। একই সঙ্গে ছয় মাসের মধ্যে মামলার তদন্ত সম্পন্ন করতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়।
দুদকের মামলার পর গত বছরের ২০ অক্টোবর বজলুর রশীদকে গ্রেপ্তারের পর ওই দিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং সেই থেকে তিনি কারাবন্দী। এরপর তিনি নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করেন। ঢাকার আদালত তার আবেদন খারিজ করার পর তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঢাকার সিদ্বেশ্বরী রোডে ২ হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন বজলুর রশীদ। এ বিষয়ে তার আয়কর নথিতে কোনো তথ্য নেই। এর দাম হিসেবে পরিশোধ করা তিন কোটি ৮ লাখ টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি দুদককে দেখাতে পারেননি।
এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল অ্যাপার্টমেন্ট কেনার জন্য চুক্তি করেন। এরপর ওই বছরের ৭ জুন পর্যন্ত ৫৪ হাজার টাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাধ্যমে চেকে পরিশোধ করেন। আর বাকি তিন কোটি ৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকা নগদে পরিশোধ করেন।