চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (সিইএবি) প্রেসিডেন্ট কে চ্যাংলিয়াং বলেছেন, চীনের বেশিরভাগ কোম্পানি বাংলাদেশে আঞ্চলিক সদর দপ্তর স্থাপন এবং তাদের কর্মশক্তির স্থানীয়করণকে আরও গভীর করার লক্ষ্যে সংস্কার করছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চীন থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি চাকরি মেলার আয়োজন করেছে ‘বিআরআই ইন বাংলাদেশ এক্সিবিউশন’ ।
বুধবার তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আশা করি এই চাকরি মেলার মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনকারী শিক্ষার্থীই ভালো সুযোগ পাবে এবং চীনের কোম্পানিগুলোও সঠিক লোক খুঁজে পাবে।’
চ্যাংলিয়াং বলেছেন, তারা এই ধরনের প্রতিভা মেলানোর ক্রিয়াকলাপের একটি দীর্ঘমেয়াদি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে। যাতে স্থানীয়দের জন্য ব্যাপকভাবে কর্মসংস্থান বাড়ানো যায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চায় যুক্তরাজ্য: পররাষ্ট্র সচিব
তিনি বলেন, চীনের সংস্থাগুলো এখানে বিশ্বব্যাপী দক্ষতাকে কাজে লাগানোর জন্য একটি শক্তিশালী 'স্থানীয়করণ কৌশল' অবলম্বন করেছে।
চ্যাংলিয়াং বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বেল্ট অ্যান্ড রোড সেমিনারে চীনের ব্যবসায়ীরা তাদের কোম্পানির কর্মী গঠনে বাংলাদেশিদের অগ্রাধিকার দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, বিদেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ করে যারা চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা সমাপ্ত করেছে তাদের জন্য এটি একটি অসাধারণ সুযোগ হবে।
সিইএবি কর্মকর্তাদের মতে, প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরে এসে তাদের মাতৃভূমির উন্নয়নে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন চীনা ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাই নেতারা।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে ঢাকা-লন্ডন সমঝোতা স্মারক সইয়ের পরিকল্পনা
অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাই (এবিসিএ) এর চেয়ারম্যান এবং চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ চীনের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের স্থানীয়করণের প্রবণতাকে স্বাগত জানিয়েছেন। মূল্যবান দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ওপর জোর দিয়েছেন। যা বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের স্বদেশে সম্পদ হিসেবে আনতে পারে যা বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি এবং উদ্ভাবনের জন্য ধারাবাহিক দৃষ্টিভঙ্গি নির্বিঘ্ন করবে।
চাকরি মেলাটি বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ এক্সিবিশন -২০২৩-এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশে চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন (সিইএবি) এবং বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিআই) সহযোগিতায় বাংলাদেশে চীনের দূতাবাস এটির আয়োজন করে।
সিইএবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি মোট ৪০০ জন সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক ও ব্যবসায়িক পেশাদারদের একত্রিত করেছে এবং বাংলাদেশি ও চীনের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে সহযোগিতার সুবিধার্থে কৌশলগুলো অন্বেষণ করেছে।