বাগেরহাটের সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন লতিফের ছিলা এলাকায় লাগা আগুন ৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
রবিবার (৫ মে) রাত ৮টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিসের মোংলা স্টেশন কর্মকর্তা মো. কায়মুজ্জামান।
তিনি জানান, সুন্দরবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ধোয়ার কুন্ডলী দেখলে দ্রুত পানি দিয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হবে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) মো. আমির হোসাইন চৌধুরী, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন ও পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে নেমেছে ৫ বাহিনী, জোয়ারের অপেক্ষা
এর আগে আগুন লাগার দ্বিতীয় দিন রবিবার সকালে সুন্দরবন বিভাগের চারটি অফিসের কর্মকর্তা ও বনরক্ষীসহ ফায়ার সার্ভিসের বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, শরণখোলা, কচুয়ার ৫টি স্টেশনের সদস্য, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও সুন্দরবন সুরক্ষায় টিমের স্থানীয় সদস্যরা একযোগে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
দুপুরে সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে যুক্ত হয় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার। আগুন লাগা স্থানগুলোতে হেলিকপ্টার থেকে ফেলা হয় পানি। এর আগেই এই সংরক্ষিত বনের বিভিন্ন স্থানের প্রায় ১০ একর এলাকার ছোট-ছোট গাছপালাসহ লতাগুলো আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এনিয়ে গত ২০ বছরে সুন্দরবনে ২৬টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৮৬ একর বন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
অগ্নিকাণ্ডের পুড়ে যাওয়া এলাকায় এখন পর্যন্ত বন্যপ্রাণী হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।
এছাড়া সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ওপর অগ্নিকাণ্ডের প্রভাব নিরূপণে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন চৌধুরী। কমিটি আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেবে।