উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের হাউলি কেউটিল গ্রামে রবিবার বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ খবর পেয়ে রাতেই বর-কনে ও কনের বাবা-মাকে আটক করে থানায় এক কক্ষে আটকে রাখে। সোমবার তাদেরকে জরিমানা করে ও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের হাউলি কেউটিল গ্রামের আনিস মোল্লা তার একমাত্র ছেলে রাসেল মোল্লাকে কোলে রেখে মারা যান। বাবা মারা যাবার পর থেকে মায়ের সাথে একই এলাকার মামা সহিদ শিকদারের বাড়িতে থেকেই মানুষ হয়। গত বছর রাসেলের মাও মারা যান। একমাত্র ছোট বোনকে ওই বাড়িতে রেখে রাসেল ঢাকার একটি কারখানায় কাজ করে। মাঝেমধ্যে ছুটি পেলেই মামার বাড়িতে আসে। ঘরে মামার এক কিশোরী মেয়ে (১৪) থাকায় এলাকার মানুষ এ নিয়ে কানাঘুষা করে। তাই সহিদ শিকদার ও তার পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় অনাথ রাসেলের সাথে তাদের মেয়েকে বিয়ে দিবেন। কথা মতো রবিবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় এক মৌলভি দিয়ে বিয়ে পড়িয়ে দেন। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাসেল, নববধূ ও কনের বাবা-মাকেও ধরে থানায় নিয়ে যায়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে রবিবার রাতে বর ও কনেকে ধরে আনা হয়। একই সঙ্গে কনের বাবা-মাকে ধরে আনা হয়। পরবর্তীতে দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিচারের জন্য সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বর-কনে পক্ষের অভিভাবক একই পরিবার হওয়ায় তাদেরকে চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে কনের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এ বিয়ে বন্ধ থাকবে এই মর্মে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।