অপরাধ
অপরাধ-সন্ত্রাস দমনে অভিযান জোরদারের আহ্বান আইজিপির
সন্ত্রাস, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদক সংক্রান্ত অপরাধ, কিশোর গ্যাং ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ইস্যুতে চলমান বিশেষ অভিযানে জোরদারে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো.ময়নুল ইসলাম।
সোমবার(২৮ অক্টোবর) এক নির্দেশনায় জননিরাপত্তা রক্ষায় এসব অভিযানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন আইজিপি।
তিনি উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সহিংস ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হত্যা মামলার সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি শেখ আফিলসহ ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা, আটক ৫
আইজিপি বলেন, স্থায়ী ও অস্থায়ী উভয় ধরনের চেকপোস্টের সহায়তায় বেশি অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে চিরুনি তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ১৫০টি চেকপোস্টের পাশাপাশি ৩০০টি মোটরসাইকেল টিম এবং ২৫০টি টহল টিম পরিচালনা করছে। গোয়েন্দা নজরদারি ও ভ্রাম্যমাণ টহলদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চলমান অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে কর্তৃপক্ষ ২০০ ডাকাত ও চাঁদাবাজ, ১৬ জন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী এবং বৈষম্যবিরোধী বিক্ষোভকারীদের উপর হামলার সঙ্গে জড়িত ১ হাজার ১৪০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
এছাড়া, অবৈধ অস্ত্রসহ ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাদক সম্পর্কিত অপরাধের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ফলে যথেষ্ট পরিমাণে মাদকদ্রব্য পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
আইজিপি দলমত নির্বিশেষে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
এই জোরদার প্রচেষ্টার মাধ্যমে সকল নাগরিকের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষে কাজ করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ক্রসফায়ারের ৮ বছর পর র্যাবের সাবেক ডিজির বিরুদ্ধে মামলা
৩ সপ্তাহ আগে
প্রার্থী নয়, অপরাধ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ইসি
প্রার্থী দেখে নয়, বরং অপরাধ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
তিনি বলেন, যে প্রার্থীই অপরাধ করুক না কেন, দলমত নির্বিশেষে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিয়ে না দেওয়ায় মাকে খুনের ঘটনায় ছেলে গ্রেপ্তার
শনিবার জেলার প্রশাসকের সন্মেলনকক্ষে নির্বাচনি আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক এক মত বিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ ও শক্তিশালীভাবে তাদের কাজ করে তবে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা হওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, বিগত নির্বাচনে যারা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোটারদের নির্বিঘ্নে, নিরাপদে ও নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট দিতে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ তৈরিতে যা যা করতে হয় স্থানীয় প্রশাসন তাই করবে।
কোনোভাবেই ভোটররা যেন অসন্তুষ্ট না হয় এবং তাদের মধ্যে যেন ভীতির সৃষ্টি না হয় সেই ব্যাপারে সর্বদা সজাগ থাকতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাল ভোট হলে তাৎক্ষণিক সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ: ইসি হাবিব
গাজায় মৃত মায়ের গর্ভ থেকে উদ্ধারের ৫ দিন পর মারা গেছে শিশুটি
৬ মাস আগে
পুলিশ ও সাংবাদিক ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে অপরাধ-অন্যায় নির্মূল সম্ভব: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে পুলিশ ও সাংবাদিক যদি ঐক্যবদ্ধভাবে একসঙ্গে কাজ করে তাহলে দেশ থেকে অপরাধ, অন্যায়-অবিচার নির্মূল করা সম্ভব হবে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্র্যাব) কার্যালয়ে মিজান মালিকের কবিতার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে একটি সুন্দর দেশ ও সমাজ গড়তে সক্ষম হবো আমরা, যা কবি মিজান মালিক তার বইয়ে বলেছেন।’
আরও পড়ুন: তদন্তে জানা যাবে কারওয়ান বাজার বস্তির অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কি না: ডিএমপি কমিশনার
তিনি আরও বলেন, অনেকে অভিযোগ করেন, সাংবাদিকরা পুলিশের বিরুদ্ধে লেখেন। ‘তবে পুলিশের বিরুদ্ধে যাওয়া অনেক রিপোর্টকে আমি স্বাগত জানাই, কারণ আমি তাদের লেখার মাধ্যমে অনেক তথ্য পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ব্যস্ত সময়সূচির কারণে আমরা অনেক কিছুই ভুলে যাই। তবে সেই তথ্য আমরা সাংবাদিকদের কাছ থেকে মনে রাখতে পারি। আমাদের গোয়েন্দা দলও তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। অনেক সময় পত্রিকার মাধ্যমে সংবাদ পর্যালোচনা করে আমরা অনেক গোয়েন্দা তথ্য পাই। সেগুলোও আমাদের কাজে লাগে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা যেমন কাজ করেন, সাংবাদিকরা তেমনি সরকারি যন্ত্রের পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে পারেন। আর তা সঠিকভাবে করতে পারলে দেশ ও সমাজের জন্য কল্যাণকর হবে বলে মনে করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) সভাপতি মো. কামারুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল আহমেদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে যানবাহন চলাচলে ডিএমপি'র নিষেধাজ্ঞা
ইজতেমা উপলক্ষে সড়ক ও পার্কিং নির্ধারণ করল ডিএমপি-জিএমপি
৯ মাস আগে
এমন অপরাধে সাজা দেওয়া হয়েছে, যা আমি করিনি: ড. ইউনূস
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তিনি যে অপরাধ করেননি তার জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছি, যা আমি করিনি। ‘আপনি যদি এটিকে ন্যায়বিচার বলতে চান, আপনি বলতে পারেন।’
সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এই সাজার প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূসের পাশাপাশি গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে শ্রম আইনের ৩০৩ এর ৩ ধারায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে আরও ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একই আইনের ৩০৭ ধারায় তাদের সবাইকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।
গ্রামীণ টেলিকমের ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করা, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে।
৮৪ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
তবে রায়ে সাজা হলেও আপাতত জেলে যেতে হচ্ছে না গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউনূসসহ চারজনকে। পরে আপিলের শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের জামিন দিয়েছেন আদালত।
রায় শুনতে আদালতে অনেক বিশিষ্ট নাগরিক উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ড. ইউনূসকে আদালত থেকে বাইরে নেওয়া হয়।
সে সময় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ড. ইউনূস বলেন, ‘আজ রায় ঘোষণা শুনতে আমার অনেক বিদেশি বন্ধু-বান্ধব এসেছেন, যাদের সঙ্গে বহুদিন দেখা হয়নি। আজ তাদের দেখে খুব আনন্দ লাগছিল।’আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি হলেন ড. ইউনূস
আজ দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে ড. ইউনূস ঢাকার প্রথম শ্রম আদালতে হাজির হন। আদালতে প্রবেশ করে এজলাসের পেছনের চেয়ারে বসে ছিলেন তিনি।
এ ছাড়া রায় শোনার জন্য অনেক বিশিষ্ট নাগরিক আদালতের এজলাসে হাজির হন। এরমধ্যে অন্যতম ছিলেন মানবাধিকারকর্মী আইরিন খান, সারা হোসেন, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল।
আইরিন খান সাংবাদিকদের বলেন, ড. ইউনূসের সাজার রায়ে তিনি বিস্মিত। ‘তাঁকে (ড. ইউনূস) হয়রানি করার জন্যই এই সাজা দেওয়া হয়েছে।’
বিচারক দুপুর ২টার পরে আদালতের এজলাস গ্রহণ করেন। পরে বিচারক রায় পড়া শুরু করেন। বিচারক বলেন,৮৪ পৃষ্ঠার রায়ের মধ্যে সব পড়া সম্ভব নয়।
এরপরে তিনি বলেন, আজকে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের বিচার হচ্ছে না। এখানে বিচার করা হচ্ছে গ্রামীন টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে। আমি শুধু জিস্টটা পড়ে শোনাচ্ছি।আরও পড়ুন: শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড
বিচারক রায় পড়ার সময় ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মামুন অনেকবার বিচারককে বলেন, তাদের বক্তব্য রায়ে আনা হয়নি। এতে আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
বিচারক তার পর্যবেক্ষণে বলেন, ড. ইউনূসের মামলায় চারজন সাক্ষী দিয়েছেন। মামলার বাদী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান কর্তৃক মামলা দায়েরে কোনো ত্রুটি হয়নি। এ ছাড়া মামলা দায়েরে কোনো বিলম্ব হয়নি। তিনি যথাসময়ে এই মামলা দায়ের করেছেন।
বিচারক রায়ে আরও বলেন, ‘এ মামলায় আরও অন্য পরিচালক রয়েছে, যাদের আসামি করা হয়নি এমন বক্তব্য আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেছেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী আরও বলেছেন শুধু ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠজনদের এ মামলায় আসামি করা হয়েছে, যা সত্য নয়। কারণ, বার্ডেন অব প্রুফ অর্থাৎ প্রমাণের দায়িত্ব আসামির ওপরে বর্তায়। এসব কারণে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, শ্রম আইন লঙ্ঘন হয়েছে।’
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে পারেন। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।আরও পড়ুন: শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড
এর আগে গত ২২ আগস্ট এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেন আসামিরা।
গত ৮ মে মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে ড. ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
এরপর ৬ জুন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
এ মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন বিবাদীর আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়া হয় আদালতে। সেখানে বলা হয় গ্রামীণ টেলিকম যেসব ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে সেগুলো চুক্তিভিত্তিক। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে তা নবায়নের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়।
গ্রামীণ টেলিকমের প্রকল্প নোকিয়া কেয়ার ও পল্লীফোনের কার্যক্রম তিন বছরের চুক্তি অনুযায়ী পরিচালিত হয়। মেয়াদ শেষে তা নবায়ন হয়। যেহেতু গ্রামীণ টেলিকমের কার্যক্রম চুক্তির ভিত্তিতে পরিচালিত তাই সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন ড. ইউনূস
১০ মাস আগে
চট্টগ্রামে আচরণবিধিসহ নানা অপরাধে বিচারিক দায়িত্বে ২৩ ম্যাজিস্ট্রেট
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অপরাধের বিচার এবং তদারকির জন্য চট্টগ্রামের ১৬টি নির্বাচনী আসনের জন্য ২৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ভোটের দু্ইদিন আগে ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট পাঁচদিন দায়িত্ব পালন করবেন এসব ম্যাজিস্ট্রেট।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ইসি সচিবালয়ের আইন-১ শাখার সহকারী সচিব মো. আল-আমিনের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
এতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ৬৫৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন এবং তার আগের দু’দিন ও পরের দু’দিনসহ মোট পাঁচদিন দায়িত্ব পালন করবেন।
চট্টগ্রামে নিয়োগপ্রাপ্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে সহকারী জজ ফারজানা তাবাসসুম মেরী, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জোনাইদ, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারদিন মুস্তাকিম তাসিন, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোছাইন, সহকারী জজ তৈয়ব উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে সহকারী জজ মুজিবুর রহমান, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ম্যাজিস্ট্রেট আইরিন পারভিন, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম সরোয়ার, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান পুনম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোহিনুর আক্তার নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ হয়ে ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু
এছাড়া চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা, সিনিয়র সহকারী জজ মো. হাসান জামান, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনে সিনিয়র সহকারী জজ মো. হেলাল উদ্দিন, সহকারী জজ মোহাম্মদ মোস্তাফা, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিন, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহ, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) আসনে সিনিয়র সহকারী জজ শামসুল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুন, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হক, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আক্তার, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাররাহুম আহমেদ, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ার) আসনে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূরুল হক, সহকারী জজ আবদুল মান্নান, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইসুমা সুলতানা, সহকারী জজ কামাল উদ্দীন, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া) আসনে সহকারী জুডিসিয়াল সুব্রত দাশ, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল হামিদ, সহকারী জজ কাওসার মাহমুদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাই, ব্যালট পেপার ধ্বংস করা, ব্যালট বক্স ছিনতাই, ভোটদানে বাধা দেওয়া, ভোটকেন্দ্রের পরিবেশকে ভোটের উপযোগী না রাখা প্রভৃতি অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচার করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্য হাতির হামলায় কৃষকের মৃত্যু
১১ মাস আগে
সাধারণত জঘন্য অপরাধে আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়: হাইকোর্ট
জঙ্গি সম্পৃক্ততাসহ জঘন্য অপরাধে জড়িত আসামিদের সাধারণত ডান্ডাবেড়ি পরানো হয় বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি অসুস্থ আমিনুর রহমানকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনা হাইকোর্টের নজরে আনলে আদালত এ মন্তব্য করেন।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি নজরে আনেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট এলাকায় বাসে আগুন
তিনি আদালতের কাছে সুয়োমোটো (স্বতঃপ্রণোদিত) আদেশ প্রার্থনা করেন।
একপর্যায়ে আদালত বলেন, জঙ্গি সম্পৃক্ততাসহ জঘন্য অপরাধের ক্ষেত্রে সাধারণত অপরাধীকে ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের একাধিক সিদ্ধান্তও রয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে সে বিষয়ে গাইডলাইন (নির্দেশিকা) রয়েছে।
আদালত আরও বলেন, এ বিষয়ে সুয়োমোটো আদেশ দেব না। চাইলে আপনারা আবেদন নিয়ে আসতে পারেন।
এ সময় এ জে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে ছিলেন— আইনজীবী কায়সার কামাল, এম বদরুদ্দোজা, মো. রুহুল কুদ্দুস।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা বলেন, ‘ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে যুবদল নেতাকে চিকিৎসার বিষয়টি নিয়ে রিট দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতালের মেঝেতে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এক ব্যক্তি। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দুই পা ভাঁজ করে শুয়ে আছেন। ডান্ডাবেড়ি থাকায় দুই পা সোজা করতে পারছেন না।
এক হাতে ঝুলছে হাতকড়া। অন্য হাতে ইনজেকশনের ক্যানোলা। দুই পায়ের মাঝখানে ঝুলছে ক্যাথেটার। রক্তমিশ্রিত প্রস্রাব সেখানে জমা হচ্ছে।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে নিয়ে এসে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ওই ব্যক্তিকে। তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়ে, যা রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে।
ছবির ওই ব্যক্তির নাম আমিনুর রহমান মধু। তিনি যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি। এ ছাড়া তিনি সদর উপজেলার আমদাবাদ ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক।
আরও পড়ুন: তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
এদিকে অসুস্থ আমিনুরের পরিপূর্ণ চিকিৎসায় বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবারের। আর কারা পুলিশের এমন অমানবিক কাণ্ডে মর্মাহত তার পরিবার ও স্বজনরা।
এরূপ আচরণ সমীচীন নয় বলে অভিমত জানান আইনজীবীরা।
দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর রাতে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে দুটি বাস থেকে ককটেল, লাঠি ও পেট্রোল জব্দের ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ ৮৭ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
ওই মামলায় আসামি যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধু। এরপর হরতাল–অবরোধে নাশকতার আরও দুই মামলার আসামি হন তিনি। গ্রেপ্তার আতঙ্কে আত্মগোপনে যান। কিন্তু ২ নভেম্বর সদর উপজেলার আমদাবাদ গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ১২ নভেম্বর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় আমিনুর রহমান মধু হৃদরোগে আক্রান্ত হন। কারাগার থেকে তার দুই পায়ে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া লাগিয়ে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ওই রাতেই তাকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন ১৩ নভেম্বর কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দুই পায়ে ডান্ডাবেড়ি ও ডান হাতে হাতকড়া লাগানো অবস্থায় হাসপাতালের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে। ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া এমনভাবে লাগানো, যাতে সামান্য নড়েচড়ে বসারও কোনো সুযোগ নেই।
চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পুলিশের আপত্তির মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে বিছানা পর্যন্ত দেয়নি। যে কারণে আমিনুর রহমান মধুকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা করা হয়।
তার বাম হাতে ক্যানোলা লাগানো। স্বজনদের তার সান্নিধ্যে যেতে দেয়নি পুলিশ। এমনকি সময়মতো ওষুধ সেবন পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তার স্বজনেরা।
আরও পড়ুন: সাকিবকে নিয়ে সমালোচনা: ধারাভাষ্য থেকে ওয়াকারের নাম প্রত্যাহারে হাইকোর্টের রুল
১১ মাস আগে
খুব শিগগিরই ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের বিধিমালা করা হবে: মন্ত্রী
ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের বিধিমালা করার কাজ চলছে। আগামী দুই-এক সপ্তাহের মধ্যে বিধিমালা শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী মো. সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে স্মার্ট ভূমি সেবা বিষয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ভূমি মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট মন্ত্রণালয় হিসেবে দাঁড় করিয়ে ফেলেছি। এটাকে একটা সাসটেইনেবল জায়গায় নিয়ে এসেছি। আমার পরে যিনি আসবেন তার বেসিক্যালি রুটিন ওয়ার্ক হবে। কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলোকে যদি ক্যারি ফরওয়ার্ড করতে পারে। মোটামুটি আমরা একটা কাঠামোতে নিয়ে এসেছি।’
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা এই মেয়াদের শেষ সময়। আগামীটা আগামীতে দেখা যাবে, আল্লাহ কী রাখছেন। তবে মনে হচ্ছে, স্যাটিসফেকশন (সন্তুষ্টি) নিয়ে ইনশাআল্লাহ যেতে পারছি। আমার মধ্যে সব সময় একটা ভীতি কাজ করত... একটা কথা আছে- শেষ ভালো যার সব ভালো তার।'
তিনি বলেন, 'জাতিকে কতটুকু পেরেছি সেটা তারা বিবেচনা করবে, কিন্তু আমি আমার জায়গা থেকে ইনশাআল্লাহ সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। স্যাটিসফ্যাকশন নিয়ে আমি যেতে পারছি।’
আরও পড়ুন: পরিবেশ সুরক্ষায় চিংড়ি মহালের ফাঁকা স্থানে সবুজায়নের নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, 'যারা কাজের প্রতি মনোযোগী, কাজ করতে বেশি আগ্রহী, তাদের মধ্যে সবসময় একটা জিনিস থেকে যায়- আরেকটু সময় পেলে যদি আর একটু কাজ করতে পারতাম এই সময়টা পেলে নিশ্চয়ই আমি কাজ আরও গোছাতে পারতাম। আমার পাঁচ বছরটা আমি চেষ্টা করেছি প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা ঘণ্টা, প্রতিটি দিনকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়।'
শেষ সময়ে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'এমন একটা মার্জিনাল সময়ে পড়েছিলাম, এটা না হওয়ার আশঙ্কা ছিল। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু সাপোর্ট দিয়েছেন, সেজন্য এটা আমি করতে পেরেছি। একটা আইন পাস করা চাট্টিখানি কথা নয়। একেবারে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ওপর পর্যন্ত অধীর আগ্রহে এই আইনের অপেক্ষা করছিল। আমি স্যাটিসফাইড যে এই আইন করে যেতে পেরেছি।'
ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের বিধিমালা করার কাজ চলছে জানিয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ইনশাআল্লাহ বিধিটা হয়ে যাবে। বিধিটা না হলে হাফ-ডান হয়ে যাবে। হাফ-ডান নিয়ে আবার প্রবলেম হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, 'ভূমি উন্নয়ন কর যেটা ম্যানুয়ালি ছিল, সেটাকে আমরা বন্ধ করে পুরো ক্যাশলেস করে ফেলেছি। প্রতিদিন ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ ৫ কোটি টাকা জমা হচ্ছে। বছরে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।'
ভূমিমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা হচ্ছে। অনেকের একসঙ্গে খতিয়ান থাকে, ভাগ হয় না, ল্যান্ডট্যাক্স দিতে পারে না। কিছু কিছু বিষয়ে কমপ্লেইন আসছে। আমরা সেটা নিয়েও কাজ করছি। মোটামুটি কি পয়েন্টস, যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ মিউটেশন, ল্যান্ডট্যাক্স এগুলো মোটামুটি আমরা সেরে ফেলেছি।
সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সেবা কার্যক্রমের সমন্বয়ে ধীরগতি রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট বা সাব রেজিস্ট্রি অফিস আবার আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। ইন্টিগ্রেশনের কাজ চলছে, কিছু কিছু জায়গায় হয়েছে আরও কাজ বাকি আছে।
তিনি বলেন, 'আমরা ল্যান্ড জোনিংয়ের কাজ করছি। ডিজিটাল সার্ভের কাজ সারাদেশে শুরু হবে।'
সাইফুজ্জামান চৌধুরী আরও বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাজ একটা ট্র্যাকে আমি দাঁড় করিয়ে দিয়েছি। এখন এটা স্পিড আপ করতে হবে। কিছু কাজ বাকি আছে আমার মনে হয়। এটাই এক মাসের মধ্যে মোটামুটি একটা কাঠামোতে চলে আসবে। শতভাগ সন্তুষ্ট না হলেও মোটামুটি একটা জায়গায় আমরা দাঁড় করিয়েছি।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, 'তবে হ্যাঁ, মাঠ পর্যায়ে এখনও আমাদের সমস্যা আছে। রাতারাতি কোনো কিছু রিপেয়ার করা খুবই কঠিন। সিস্টেমের মাধ্যমে ডেভলপ করে আমি যতটুক পেরেছি করেছি।'
বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মো. জাহিদ হোসেন পনির।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের মেয়াদেই ভূমি অপরাধ আইন প্রণয়নের চেষ্টা চলছে: ভূমিমন্ত্রী
ভূমি মালিকদের স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে: ভূমিমন্ত্রী
১ বছর আগে
অপরাধ করায় বিএনপি নেতারা গ্রেপ্তার: আইনমন্ত্রী
অপরাধ করার কারণে বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার (৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুন: ইসির তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার: আইনমন্ত্রী
বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজনীতির সঙ্গে এর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
এর আগে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী।
এ নিয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। এ ছাড়া আমাদের সব বিষয়ে তিনি আলাপ করেছেন।
আরও পড়ুন: যা কিছু হবে সংবিধান ও আইনের মধ্যেই হতে হবে: আইনমন্ত্রী
পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার দ্রুত গতিতে করা হবে: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
সিলেটে নিখোঁজ হামিমকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
নিখোঁজের চার দিন পর সিলেটের শ্রীরামপুরের ইয়ামিন আরাফাত হামিমকে (১৯) অচেতন অবস্থায় টার্মিনাল এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে হামিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হামিমের শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
ইয়ামিন আরাফাত হামিম মোগলাবাজার থানাসংলগ্ন শ্রীরামপুরের শেখপাড়ার জামাল উদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাতে মোবাইল ফোন বিক্রির কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন হামিম। পরে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সমুদ্রে ডুবে দুই বন্ধুর মৃত্যু
এ ঘটনায় তার বাবা বুধবার (১১ অক্টোবর) মোগলাবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
হামিমের পরিবার জানায়, নিখোঁজ হওয়ার পর হামিমের মোবাইল ফোন থেকে তার মায়ের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল আসে। তখন হামিম বলে, তাকে ৪ জন লোক একটি অন্ধকার ঘরে আটকে রেখেছে। তাদের হাতে বন্দুক আছে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) রাতে হামিমের সঙ্গে তার পরিবারের শেষ কথা হয়। তারপর থেকে হামিমকে ফোন বন্ধ পাওয়া যায় বলে জানায় তার পরিবার।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাইন উদ্দিন জানান, নিজস্ব সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল ৮টায় কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ইয়ামিন আরাফাতকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ হলে তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় এলজিইডি কর্মকর্তা নিহত, আহত ৪
১ বছর আগে
রাজধানীর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, বর্তমানে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেশ স্থিতিশীল এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি বলেন, রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে কারণ ডিএমপি একটি টিম হিসেবে কাজ করছে। 'টিম ডিএমপি' ভবিষ্যতে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
সোমবার ডিএমপি সদর দপ্তরে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় দেওয়া বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার এ মন্তব্য করেন।
ডিএমপি প্রধান আরও বলেন, দেশের প্রচলিত আইন মেনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ডিএমপির শীর্ষ কর্মকর্তা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাস্তবায়ন, চুরি ও ডাকাতির মামলার তদন্তের পাশাপাশি চোরাই গাড়ি ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের আরও গুরুত্ব দিতে বলেন।
জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জনে সচেষ্ট হতেও বলেন তিনি।
বিট পুলিশিংয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিট পুলিশিং কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে জনগণ ও পুলিশের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
পুলিশ ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব কমবে এবং এ জন্য জনগণ তাদের সমস্যার কথা পুলিশকে জানাতে পারবে। বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণও অনেক সহজ হবে বলেও জানান তিনি।
বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানে ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করেন।
আরও পড়ুন: সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে আশপাশে জমায়েত ও অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি
১ বছর আগে