বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) সহযোগিতা অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের ঐতিহাসিক ধারাকে ধারণ করে। এটি বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থার উন্নতিকে তুলে ধরে এবং জনগণের উন্নত জীবনের জন্য মৌলিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে একটি শক্তিশালী উদ্যোগ।
শিক্ষাবিদ, ব্যবসায় ও গণমাধ্যমসহ বাংলাদেশ ও চীনের বিভিন্ন খাতের কয়েকজন বক্তা এক আলোচনা সভায় তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ বিআরআইয়ের গর্বিত সদস্য দেশ। এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু রেল সংযোগ চীনের বিআরআই’র আওতায় একটি যুগান্তকারী প্রকল্প: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
সোমবার (২০ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'চায়না-বাংলাদেশ রিলেশনস অ্যান্ড দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ' শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে অলাভজনক ও অরাজনৈতিক স্বাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইস্ট এশিয়া ফাউন্ডেশন (সিইএএফ)।
স্বাগত বক্তব্যে সিইএএফের নির্বাহী পরিচালক নাসিম মাহমুদ বলেন, চীন সবসময় বাংলাদেশের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় দৃঢ় সমর্থন দিয়ে আসছে এবং বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও লাভজনক ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন মুহাম্মদ আবদুল মঈন বলেন, চীনের আর্থিক বিনিয়োগসহ বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিআরআই থেকে লাভবান হতে শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিআরআইয়ের বিনিয়োগ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা উন্নয়ন এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে অবদান রাখবে।
সাংহাই একাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের পরিচালক ওয়াং জিয়ান বলেন, বিআরআই সড়ক, সেতু ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি চীন-বাংলাদেশ বাণিজ্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়নে ব্যাপক উৎসাহ দিয়েছে।
আগামীতে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বিআরআই সহযোগিতা জনগণের জীবনকে উপকৃত করবে এবং টেকসই করার নীতি মেনে চলবে।
আরও পড়ুন: বিআরআই’র দশম বার্ষিকী: বেইজিংয়ে উদীয়মান দেশগুলোর নেতাদের বৈঠক