বুধবার আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ওই নোটিশ পাঠান।
সময় চেয়ে করা আবেদন প্রত্যাহার না করলে আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, গত বছর ২ এপ্রিল ভবিষ্যতে আর সময় চাওয়া হবে না উল্লেখ করে বিজিএমইএ’র দেয়া অঙ্গীকার আবেদন মঞ্জুর করে আপিল বিভাগ ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ভবন সরাতে সময় বৃদ্ধি করেন। আর কোনোসময় চাওয়া হবে না বলে অঙ্গীকার দেয়ার পরও যে সময় বৃদ্ধি করা হয় তা গত ১২ এপ্রিল পার হয়েছে। কিন্তু একজন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ডের মাধ্যমে ভবনটি সরাতে আরও এক বছর সময় বাড়াতে একটি আবেদন দায়ের করেছেন। যেটা গত বছরের ২৩ এপ্রিল আপিল বিভাগের দেয়া আদেশের সরাসরি লংঘন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বিজিএমই সভাপতির কার্যক্রম আপিল বিভাগের আদেশের প্রতি অশ্রদ্ধা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে লংঘন, যা আদালত অবমাননার শামিল।
নোটিশে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সময় চেয়ে করা আবেদন প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায় আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে ওই ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেয়। এর বিরুদ্ধে বিজিএমইএ লিভ টু আপিল করে, যা ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগে খারিজ হয়। রায়ে বলা হয়, ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙতে আবেদনকারীকে (বিজিএমইএ) নির্দেশ দেয়া হয়। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়।
আদালতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা চেয়ে বিজিএমইএ আবেদন করে, যা ২০১৭ সালের ৫ মার্চ খারিজ হয়। পরে কার্যালয় অন্যত্র সরাতে দুবার সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ। দ্বিতীয় দফায় করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ৮ অক্টোবর আপিল বিভাগ সাত মাস সময় দেয়, যার মেয়াদ গত বছরের ১২ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা ছিল। এ অবস্থায় গত বছরের ৪ মার্চ আরও এক বছর সময় চেয়ে বিজিএমইএ আবেদন করে। পরে আপিল বিভাগের আদেশের প্রেক্ষিতে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ একটি অঙ্গীকারনামা দাখিল করে যে, ভবিষ্যতে আর সময় বৃদ্ধি আবেদন করা হবে না। ওই আবেদন মঞ্জুর করে আপিল বিভাগ আরও এক বছর সময় দেন, যা গত ১২ এপ্রিল শেষ হয়। এরপরও ভবন সরিয়ে না নেয়ায় মঙ্গলবার রাজউক ভবনটি তালাবদ্ধ করেন।