মঙ্গলবার অনলাইন ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান জহুরুল হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘গ্রামীণফোনের সাথে বিটিআরসির অনেক দিনের একটি লেনদেন ছিল। আমাদের অডিট আপত্তির টাকার মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা দুই কিস্তিতে বিটিআরসির কাছে জমা দেয়ার কথা ছিল। সুপ্রিম কোর্টের আদেশে ইতোমধ্যে আগে এক হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। আরও এক হাজার কোটি টাকা ৩১ মে’র মধ্যে জমা দেয়ার কথা ছিল, যা গ্রামীণফোন আজকে বিটিআরসির কাছে জমা দিয়েছে।’
করোনাভাইরাসের এ সময়ে টাকাগুলো সরকারের অনেক কাজে দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গ্রামীণফোন আমাদের কাছ থেকে ন্যায্যসহ কিছু সুবিধা পাবে। সে অনুযায়ী গ্রামীণফোনও পাওনা বাকি টাকা দ্রুত দিয়ে দেবে বলে আশা করছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘অডিট আপত্তির বাকি টাকা নিয়ে গ্রামীণফোনের সাথে আবার বসব। সেখানে আলাপ আলোচনা করে সমাধান করব। হিসেবে যদি কোনো গড়মিল থেকে থাকে এবং তারা সঠিক তথ্য দিতে পারলে আমরা মেনে নেব।’
অন্যদিকে, গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, ‘আদালতের আদেশ অনুযায়ী গত ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তির এক হাজার কোটি টাকা বিটিআরসিতে জমা করেছি। দ্বিতীয় কিস্তিতে আজ আরও এক হাজার কোটি টাকার পে-অর্ডার চেক জমা করেছি।’
বাকি টাকার বিষয়ে করোনাভাইরাস শেষে বিটিআরসির সাথে আলাপ আলোচনা করে সমাধান করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে গত বছর দাবি করে বিটিআরসি।