লঞ্চটিকে এয়ার ব্যাগের মাধ্যমে ধীরে ধীরে বুড়িগঙ্গা নদীর মাঝ থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের মীরেরবাগ চরের দিকে আনা হচ্ছে।
নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যেই লঞ্চটি পুরোপুরি উদ্ধার করতে পারবেন।
এদিকে, সোমবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নারী পুরুষ ও শিশুসহ ৩২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তন্তর করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৩০ জনই মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
লঞ্চডুবির ১৩ ঘণ্টা পর সুমন ব্যাপারী (৫৫) নামে এক ফল ব্যবসায়ীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ি থানার আব্দুল্লাহপুর এলাকার বাসিন্দা সুমন মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
অন্যদিকে, উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ের ধাক্কায় পোস্তগোলার চীন মৈত্রী সেতুর একটি ঘাটার তিন ফুট ভেঙে সরে গেছে। তাই সোমবার থেকে সেতুটি দিয়ে ভারি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে, এক পাশ থেকে সীমিত আকারে হালকা যান চলাচল করছে।
এদিকে, সোমবার রাতে সদরঘাট নৌ থানার পুলিশ বাদী হয়ে ময়ুর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টার ও সারেংসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর লঞ্চটি জব্দ করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
লঞ্চডুবির ঘটনায় আর কোনো যাত্রী নিখোঁজ নেই বলে নিশ্চিত করেছেন বিআইডাব্লুউটিএর যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন।