বুধবার দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আজিজ আহমদ ভুঞা এ আদেশ দেন। তবে মামলার অপর ২০ আসামির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
এর আগে, বড়পুকুরিয়া কোম্পানির সাত ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ২৩ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আইনজীবীর বক্তব্য শোনা শেষে বিচারক ওই আদেশ দেন।
জামিন না হওয়া ওই ৩ আসামি হলেন- কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম খাদেমুল ইসলাম।
গত মঙ্গলবার একই আদালতের বিচারক এ চাঞ্চল্যকর মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানি শেষে মামলার অভিযোগপত্রের তালিকাভুক্ত বড়পুকুরিয়ার সাবেক সাত এমডিসহ ২৩ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ প্রদান করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭.৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরি হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১.৮৪ টাকা। এ ঘটনায় পরে কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়।
কয়লা গায়েবের ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনিসুর রহমান বাদী হয়ে গত বছর ২৪ জুলাই ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন।
মামলাটি পরে দুদকের তফশীলভুক্ত হওয়ায় দুদক কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে গত ২৪ জুলাই মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে প্রদান করে।