রবিবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়ার আংশিক) আসনের এমপি অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা আত্মসমর্পণ করছেন তাদের বিরুদ্ধে আদালতে ও থানাগুলোতে মামলা রয়েছে। সেগুলোও আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চলবে। পাশাপাশি যারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছেন তারা যেন পরবর্তীতে পূর্বের অবস্থানে ফিরে যেতে না পারে সেদিক খেয়াল রাখবে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা।’
আত্মসমর্পণকারীদের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মী হত্যা, অপহরণ, গুমের অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। এছাড়াও তৃণমূল পর্যায়ে এই আত্মসমর্পণে রয়েছে অসন্তোষ।
এ বিষয়ে টুকু বলেন, সরকার বৃহত্তর জনগোষ্ঠির স্বার্থে আইনশৃংখলা দমন ও জানমালের নিরাপত্তায় যে কোনো ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। সেখানে দলমত দেখার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৯ সালের আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকাকালীন পাবনাতে এ ধরনের চরমপন্থীদের আত্মসমর্পণের আয়োজন করা হয়েছিল। সে সময় চারশতাধিক চরমপন্থী আত্মসমর্পণ করে। সেবারও তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মাঝে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় এসে তাদের ভিন্ন পথে, ভিন্ন মতে ব্যবহার করায় আইনশৃংখলায় মারাত্মক অবনতি দেখা দেয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে দেশের শান্তিশৃংখলা বজায় রাখার তাগিদেই আবারও এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
সম্প্রতি সরকার চরমপন্থী সংগঠনের সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। আত্মসমর্পণে আগ্রহী হয় রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, বগুড়াসহ ১৫টি জেলার পূর্ববাংলা কমিনিস্ট পার্টি, পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টি, পূর্ববাংলা লাল পতাকাসহ কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা। দীর্ঘ সময় আত্মগোপনে থাকা এ চরমপন্থীরা ফিরতে চান স্বাভাবিক জীবনে।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন পুলিশের আইজি জাবেদ আলী পাটোয়ারি।