বুধবার এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
সরকারি তথ্যনুযায়ী, বাংলাদেশ প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
গত ৭০ বছরের ইতিহাসে ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক শরণার্থী সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, যুদ্ধ, নির্যাতন ও সংঘর্ষে পালিয়ে আসা মানুষের সংখ্যা ২০১৮ সালে ৭০ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে।
বুধবার প্রকাশিত ইউএনএইচসিআর-এর বার্ষিক ‘গ্লো্বাল ট্রেন্ডস’ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের শেষ দিকে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ছিল ১১ লাখ, যা ২০১৭ সালেও প্রায় একই ছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বছর (২০১৮) শেষে মিয়ানমারের শরণার্থীদের সবচেয়ে বেশি আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ (৯ লাখ ৬ হাজার ৬০০ জন)। ২০১৭ সালে এ সংখ্যা আরও একটু বেশি ছিল (৯ লাখ ৩২ হাজার ২০০ জন)।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরের স্থানে পর্যায়ক্রমে রয়েছে মালয়েশিয়া (১ লাখ ১৪ হাজার ২০০ জন), থাইল্যান্ড (৯৭ হাজার ৬০০ জন) এবং ভারত (১৮ হাজার ৮০০ জন)।
এ প্রতিবেদন প্রসঙ্গে ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশ প্রতিনিধি স্টিভেন করলিস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের সাথে আরও বেশি সংহতি প্রকাশের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আজ যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তাতে আরও একবার প্রমাণিত হলো যে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে সরকার ও বাংলাদেশের জনগণ উদারতা দেখিয়েছে।’