শুক্রবার তৃতীয় দিনের মতো ট্রলার ও নিখোঁজ শ্রমিকদের খোঁজে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মো. মোস্তফা মহসিন বলেন, মেঘনার তলদেশের প্রায় ৬০ ফুট পানির নিচে সাইড স্ক্যান সোনারে শব্দ তরঙ্গের মাধ্যমে ট্রলারের সন্ধান চলছে। উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে। নৌ-বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরি দল কাজ করছে।
এদিকে মুন্সীগঞ্জের মেঘনায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। নয় সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির প্রধান মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোবাশ্বেরুল ইসলাম।
তবে ট্রলার ডুবির ঘটনার চার দিনেও কোনো মামলা করা হয়নি।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, মামলার প্রস্তুতি নেয়া আছে। তবে এখনও ট্রলারটি শনাক্ত না হওয়ায় মামলা করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে ট্রলারের বেঁচে যাওয়া শ্রমিক শাহ আলম দুর্ঘটনার দুঃসহ স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, ‘আমি যেন এক নতুন জীবন পেয়েছি। সাথের শ্রমিক ভাইদের হারিয়ে খুব কষ্টে আছি।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে মেঘনা নদীতে মাটি বোঝাই ট্রলারটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় প্রায় ২০ জন শ্রমিক নিখোঁজ হন। নিখোঁজ শ্রমিকদের মধ্যে ১৭ জনের বাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরিয়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নে। দুর্ঘটনার প্রায় ২৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার অভিযানের কাজ শুরু হয়।