রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি দস্তগত করল কি, করল না ওটার সাথে এটার কোনো সম্পর্ক নাই। যেকোনো আইন সংশোধন হতে পারে, পরিমার্জন, পরিবর্তন করা যায়। সুতরাং রাষ্ট্রপতির রুটিন কাজ এটা। সংসদ পাস করেছে, রুটিন কাজ উনি করছেন। আমাদের কাজ যদি সংশোধন হয় তাহলে করবেন, সংসদ তো আছে। আলোচনাটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে মন্ত্রিপরিষদের দুটি সভা হয়েছে। তার আগে প্রধানমন্ত্রীকে আইনমন্ত্রী এবং আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু মন্ত্রিপরিষদে আলোচনা করার পরিবেশ ছিল না বলে হয়নি। আমরা আশা করছি, যেকোনো সময়ে আলোচনাটা হবে। আলোচনা করলে আমরা আবারো এডিটর'স কাউন্সিল এবং সাংবাদিক নেতাদের সাথে বৈঠকে মিলিত হব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এডিটর'স কাউন্সিল, বিএফিউজে, ডিইউজে এর নেতাদের সাথে বৈঠকে বসেছিলাম। সেখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তারা যেসব প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন সেটা আমরা শুনেছি, লিপিবদ্ধ করেছি। একটা কথা আমরা বলেছিলাম, যে আলোচনাটার সূত্রপাত হলো এটা অব্যাহত রাখবো। এটার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদকে অবহিত করে এই বিষয়ে তারা কি দিকনির্দেশনা দেয় তার ভিত্তিতে আবার আমরা বসবো। আমরা আলোচনাটা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার রেখে পরবর্তী বৈঠকের জন্য সময় চেয়ে নিয়েছিলাম। এও বলেছিলাম, আপনারা নির্দিষ্ট সময় বেধে দিয়েন না।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তিন মন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রাখেননি বলে সম্পাদক পরিষদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বক্তব্যটা আমাদের কাছে দুঃখজনক ও হৃদয়বিদারক।’
তিনি আরো বলেন, ‘আলোচনাটা চালু আছে, বন্ধ হয়ে যায়নি এবং বিভিন্ন বিষয়ে যে প্রশ্নগুলো উত্থাপন করা হয়েছে সে বিষয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে একটা দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে সক্ষম হব বলে বিশ্বাস করি।’