মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, শান্তিকমিটি ও স্বাধীনতাবিরোধী তালিকা বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর ব্যাখ্যা প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে নতুন কোনো তালিকা প্রণয়ন করা হয়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা যেভাবে পাওয়া গেছে সেভাবেই প্রকাশ করা হয়েছে।
অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, এ তালিকায় বেশ কিছু নাম এসেছে, যারা রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, শান্তিকমিটি বা স্বাধীনতাবিরোধী নন, বরং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বা মুক্তিযোদ্ধা। এ ধরনের কোনো ব্যক্তির নাম তালিকায় কিভাবে এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রকাশিত তালিকায় ভুলভাবে যদি কারও নাম এসে থাকে, আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই অন্তে তার/তাদের নাম এ তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি পর্যালোচনা করে প্রথম ধাপে রবিবার ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রথম ধাপের এই তালিকা প্রকাশ করেন।
কিন্তু এতে বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার নাম আসায় তালিকাটি নিয়ে বেশ সমালোচনা শুরু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর নামও এসেছে রাজাকারের তালিকায়। আবার এ তালিকায় নাম পাওয়া গেছে বরিশালের গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্ত্তীর।