পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, র্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাহার করলে বাংলাদেশ খুশি হবে।
প্রতিষ্ঠান হিসেবে র্যাব চমৎকার কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তদন্ত ও পুনঃনিরীক্ষণ করা তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) ওপর নির্ভর করে।’
র্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে চরমপন্থা আবার শুরু হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানতে চান, মানবপাচার, মাদক পাচার ও মৌলবাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে এর দায় কে নেবে।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি প্রতিটি সভায় এটি উত্থাপন করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটি (নিষেধাজ্ঞা) অনুপযুক্ত এবং অযৌক্তিক বলে মনে করি।’
মঙ্গলবার ইউনাইটেড স্টেটস ইনস্টিটিউট অব পিস (ইউএসআইপি) আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি এবং গত ৫০ বছরের শিক্ষা নিয়ে ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথন’ শিরোনামের এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মোমেন।
ইউএসআইপির প্রেসিডেন্ট ও সিইও লিজ গ্র্যান্ডে অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন এবং রাষ্ট্রদূত টেরেসিটা শ্যাফার এটি সঞ্চলনা করেন।
দেশে আর কোনো সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদ নেই জানিয়ে এ অর্জনের কৃতিত্ব র্যাবকে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ‘র্যাব জনসাধারণের স্বীকৃতি অর্জন করেছে।’
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন র্যাবের সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেন। তবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া এবং প্রশিক্ষণ পুনরায় শুরু করতে সময় লাগতে পারে বলেও জানান তিনি।