বুধবার দুপুর ১২টার দিকে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক আ. ছালাম খান এ আদেশ দেন।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে শরীয়তপুর সদর উপজেলার পশ্চিম কোয়ারপুর গ্রামের জলিল খলিফার ছেলে ফারুক খলিফার সাথে একই গ্রামের আবুল হোসেন খানের মেয়ে শেফালীর বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় এক বছর পর ২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকালে যৌতুকের জন্য স্ত্রী শেফালীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করে ফারুক। এতে শেফালীর গলার ঢোর কেটে যায় এবং সে গুরুতর জখম হয়।
ঘটনার পরদিন ২৭ ডিসেম্বর শেফালীর বাবা আবুল হোসেন খান বাদী হয়ে শেফালীর স্বামী ফারুক খলিফা, ফারুকের বাবা জলিল খলিফা ও মা ফুলমতি বেগমকে আসামি করে পালং মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। প্রায় ১১ মাস চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় শেফালী আক্তার মারা গেলে ওই মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
দীর্ঘ ৭ বছর মামলাটি বিচারাধীন থাকার পর বুধবার মামলার রায় প্রদান করেন বিচারক। এই রায়ে মামলার ১নং আসামি ফারুক ফলিফার ফাঁসি এবং ফারুকের বাবা জলিল খলিফা ও মা ফুলমতি বেগমকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট মির্জা হজরত আলী এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান।