পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন তাকে নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখা যাবে না।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এটিকে নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখার কোনো সুযোগ নেই।’ তিনি উল্লেখ করেন, এই ঘটনা দীর্ঘ ৫০ বছরের ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
রাষ্ট্রদূত হাস বুধবার সকালে রাজধানীর শাহীনবাগে গুমের শিকার স্বজনদের সংগঠন মায়ের ডাক -এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামের বাসায় যান।
সানজিদা বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন, যিনি ২০১৩ সালে নিখোঁজ হন বলে জানা গেছে।
যদিও হাস সেখানে পৌঁছালে, তিনি অন্য একটি সংগঠনের সদস্যদের দ্বারা আটকা পড়েন এবং মুখোমুখি হন - মায়ার কান্না (মায়ের কান্না) – পূর্ববর্তী শাসক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রশাসনের নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্যদের একটি মঞ্চ।
ঘটনার পরপরই জরুরি ভিত্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে দেখা করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন।
“আমি তাকে বলেছিলাম যে আপনার এবং আপনার নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। আমি তাকে (হাস) জিজ্ঞেস করলাম, কেউ তাকে বা তার লোকদের ওপর আক্রমণ করেছে কিনা? তিনি উত্তর দেন, না,” পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, তিনি চাইলে রাষ্ট্রদূতকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রদান করবেন।
সেখানে লোকজনের অবরোধের ভয়ে রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তাকর্মী তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্থান ত্যাগ করতে বলে।
মোমেন বলেন, ‘নিরাপত্তার কারণে তিনি দ্রুত চলে যান। এ ঘটনায় তিনি খুবই অসন্তুষ্ট। তিনি কিছুটা চিন্তিত।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসের কর্মীরা ‘নিরাপত্তা উদ্বেগের’ কারণে ১৪ ডিসেম্বরের প্রথম দিকে বৈঠকটি শেষ করেন।
মার্কিন পক্ষ বলেছে যে তারা বাংলাদেশ সরকারের ‘উচ্চ পর্যায়ে’ এই বিষয়ে তাদের ‘উদ্বেগ’ উত্থাপন করেছে।