অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, শিগগিরই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে তিনি অত্যন্ত আশাবাদী।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার টানা পঞ্চম অর্থবছরের ২০২৩-২৪ এর প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করার সময় তিনি সংসদে বলেন, ‘আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি কমে যাওয়া প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘একইসঙ্গে আমরা আমাদের রপ্তানি আয় বাড়াতে রপ্তানি প্রচারমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। পাইপলাইনে বৈদেশিক ঋণ বিতরণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি উল্লেখ করেন যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন সরকারের লক্ষ্য হলেও, একই সঙ্গে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর জোর দিতে চায়।
ইতোমধ্যে সরকারের সময়োপযোগী কৌশল অবলম্বন করে কামাল বলেন, অর্থপ্রদানের ভারসাম্যে অস্থিতিশীলতা কমেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সতর্ক থাকব এবং আসন্ন আর্থিক বছরেও একটি সহনশীল নীতি গ্রহণ করব।’
তিনি বলেন, বিনিময় হারকে ক্রমান্বয়ে বাজারমুখী করার লক্ষ্যে বিদ্যমান একাধিক বিনিময় হারের ব্যবধান ন্যূনতম পর্যায়ে আনা হচ্ছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফের বাড়াতে মন্ত্রী বলেন, আমদানিকৃত পণ্যের মূল্যের যথার্থতা যাচাইয়ের বর্তমান উদ্যোগ বাস্তবায়নের পাশাপাশি এলসি খোলা, নিষ্পত্তি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রক্রিয়াগত প্রয়োজনীয়তা পর্যবেক্ষণ করা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের ব্যবহারকে উৎসাহিত করার জন্য, আড়াই শতাংশ প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে এবং মোবাইল আর্থিক পরিষেবা সহ রেমিটার-বান্ধব প্রক্রিয়াগুলো প্রচার করা হচ্ছে।’
বাংলাদেশি ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ফি অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘এই উদ্যোগগুলোর জন্য ধন্যবাদ, আমাদের রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।’