বুধবার দুপুর ১২টায় জুডিশিয়াল প্রথম আদালতের বিচারক এম এম মোর্শেদ এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই সুমন কাদেরী আদালতে মহিত মিয়ার পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বাসচালক মুহিত মিয়া বর্তমানে এই মামলায় কুষ্টিয়া কারাগারে রয়েছেন। ১২ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার বঙ্গেশ্বরদী এলাকা থেকে চালক মহিত মিয়াকে গ্রেপ্তার করে কুষ্টিয়া র্যাব।
গত ২৮ আগস্ট রাজশাহী থেকে ফরিদপুরের উদ্দশ্যে ছেড়ে আসা গঞ্জেরাজ পরিবহনের একটি বাস শহরের চৌড়হাস মোড়ের কাউন্টারে এসে থামে। সে সময় থেমে থাকা বাসের সামনে দিয়ে এক বছরর শিশু কন্যা আকিফাকে কোলে নিয়ে রাস্তা পারা হচ্ছিলেন মা রিনা বেগম। হঠাৎ কোন হর্ণ ছাড়াই চালক খোকন বাসটি চালিয়ে দেন। বাসের ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে আহত হয় শিশু কন্যা আকিফা। বাসের ধাক্কায় রিনা বেগমও আহত হন।
৩০ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশু আকিফা। পরে এ দুর্ঘটনার সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। আকিফার বাবা হারুন উর রশীদ ওই দিন রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় বাসচালক ও মালিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ তা ৩০৪ ধারায় নথিভুক্ত করেন। পরবর্তীতে শিশু আকিফা মৃত্যুর ঘটনার দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই,সুমন কাদেরী গত ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক এমএম মোর্শেদ’র আদালতে হাজির হয়ে শিশু আকিফাকে বাস চাপা ও মৃত্যুর জন্য চালক ও মালিককে দায়ী করে তথ্য উপাত্ত আদালতে উপস্থাপন করে মামলাটি ৩০২ ধারায় (হত্যা মামলা) সংযোজন করার আবেদন জানালে বিজ্ঞ আদালতে প্রার্থনা মঞ্জুর করেন। একই সাথে আগের দিন জামিন প্রদান করা বাসের চালক ও মালিকের জামিন আদেশ বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।