সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের ফিড শুধু বৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটররাই গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দেশি-বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচার বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসংক্রান্ত এক সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটরের বাইরে অন্য কেউ দেশি ও বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করলে তা বেআইনি ও অবৈধ। এ বেআইনি কাজ বন্ধে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে। এ বেআইনি কাজের কারণে সরকার রাজস্ব হারায় এবং বিভিন্নভাবে বিদেশে অর্থ পাচার হয়। একইসঙ্গে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: টিআইবির গবেষণা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পড়ে না: আরাফাত
তিনি আরও বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে যে ক্লিনফিডের ব্যবস্থা করা হয়েছে বিদেশি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারের কারণে তা বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে এ সংক্রান্ত আইনের বাস্তবায়ন করা হবে। যারা অবৈধ সেট টপ বক্সের মাধ্যমে অবৈধভাবে চ্যানেলগুলো দেখাচ্ছে, ক্লিনফিডের ব্যবস্থা না করে ইচ্ছেমতো বিজ্ঞাপনসহ চ্যানেল দেখাচ্ছে, তাদের কারণে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এক্ষেত্রে সরকার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান আরাফাত।
এ সময় অবৈধ সেট টপ বক্স আমদানি ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন আরও জোরদার অভিযান করবে বলে জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আরও পড়ুন: অবৈধ ভিওআইপির সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না: তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা কঠোর বার্তা দিতে চাই যেন কেউ কোনোভাবে সেট টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি না করে এবং সেটা বাজারজাত না করে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা স্বার্থে, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং আমাদের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে আমরা এ অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে যাচ্ছি।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় একসঙ্গে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করছে বলে জানান পলক।
সভায় আরও ছিলেন- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালগুলো স্ট্রিমলাইন করাচ্ছি: তথ্য প্রতিমন্ত্রী