ফারুক ইসলাম নূর আল হক (৫৭) নামের ওই ব্যক্তি পেশায় ঢালাই শ্রমিক ছিলেন।
সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ সম্প্রতি তাকে পুরস্কৃত করে আজমান সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় দৈনিক খালিজ টাইমস এর প্রতিবেদনে বলা হয়, আজমানের নুয়াইমিয়াহ এলাকায় গত শনিবার রাতে একটি অ্যাপার্টমেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় আশপাশের মানুষের চিৎকারে ফারুক দৌঁড়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং ভবনটির এক শিশুকে রক্ষা করেন।
স্থানীয় এক পত্রিকাকে ফারুক বলেন, ‘ভবনটির তৃতীয় তলায় বাস করা এক নারীর চিৎকারে আমি তাকে বাঁচাতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। সেখানে অনেক মানুষের ভিড় ছিল, কিন্তু কেউ তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেনি। সেসময় ওই নারী ও তার সন্তানকে বাঁচানোর জন্য আমি মনের ভেতর থেকে তাগিদ অনুভব করি।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আগুন দ্রুত বাড়িটির চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছিল। একটি বড় জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ওই নারী তার শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে চিৎকার করে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছিল। সে দৃশ্য দেখে আমি আমার দু’হাত বাড়িয়ে দেই। আমাকে দেখে সে তার সন্তানকে বাঁচানোর জন্য নিচে ফেলে দেয়।’
‘অবশেষে শিশুটিকে নিরাপদভাবেই আমি ধরতে সক্ষম হই। আশপাশের লোকজন সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাতে তালি দিতে থাকে। আমি খুবই কৃতজ্ঞ অনুভব করি কারণ আমার জীবনে ভালো কিছু করতে পেরেছি,’ বলেন তিনি।
পরে শিশুটির মাও নিচে ঝাঁপ দেন এবং পার্ক করা একটি গাড়ির ওপর পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে তাকে খলিফা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।