সোমবার ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনের তফসিল আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হবে।’
ইসি সচিব জানান, বৈঠকে আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে দেশব্যাপী ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রতিটি সদর উপজেলা পরিষদে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
ধাপে ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
এদিকে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে বিক্রি শুরু করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
শনিবার আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ফর্ম সংগ্রহ করতে পারবেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত আসন অনুযায়ী সংরক্ষিত ৫০টি আসনের মধ্যে ৪৩টি আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ৪টি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ১টি এবং স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দল মিলে ২টি আসন পাবে।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জয়ী এমপিরা এরই মধ্যে শপথ নিয়েছেন। গঠন করা হয়েছে মন্ত্রিসভা।
২৫৭টি আসনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছে। আর বিরোধী দলে থাকছে ২২টি আসনে জয়ী এইচএম এরশাদের জাতীয় পার্টি।
এছাড়া বিএনপি ৬টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি, গণফোরাম, জাসদ, ও বিকল্পধারা ২টি করে, তরীকত ফেডারেশন ১টি, ৩টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়।
একটি আসনে আগামী ২৭ জানুয়ারি ভোট অনুষ্ঠিত হবে। একজন প্রার্থীর মৃত্যুতে ওই আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশন সংসদের কোনো সাধারণ নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখ থেকে পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের (৩) দফার অধীন সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন সম্পন্ন করবে এবং এই লক্ষ্যে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা মনোনয়ন পত্র দাখিল, বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের তারিখ এবং ভোট গ্রহণের স্থান ও তারিখ নির্ধারণপূর্বক নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবে৷
গত ২ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত এমপিদের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরের দিন (৩ জানুয়ারি) এমপিরা শপথ নেন। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত এমপিরা এখনও শপথ নেননি।
সংসদের সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ-সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহণকারী সকল ব্যক্তি সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে ভোটার হবেন।