শুক্রবার শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যের জন্য বঙ্গভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী অশুভ শক্তি বার বার দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছে। ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। কিন্তু দেশ আজ উন্নতি ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে অশুভ তৎপরতাকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে। এই দুর্গাপূজায় এটাই আমাদের সকলের অঙ্গীকার হওয়া উচিৎ।’
‘দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় উৎসব নয় বরং সামাজিক উৎসব’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রতি বলেন, ‘ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই উৎসব উদযাপন করে। পারিবারিক ও সামাজিক এই উৎসবের মাধ্যমে গড়ে ওঠে সৌহার্দ্যের সেতুবন্ধন। এই ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে ঐক্যের বন্ধন তৈরি করে। তাই এই উৎসব সর্বজনীন।’
আবদুল হামিদ বলেন, ‘অসুর শক্তি’ পরাস্তের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে দুর্গাপূজার মর্মবাণী। অশুভ অসুর শক্তি আজও বিরাজমান। কালের বিবর্তনে এর রূপ হচ্ছে ভিন্ন থেকে ভিন্নতর।
তিনি বলেন, আমরা এখন স্বাধীন দেশের নাগরিক। ৪৭ বছর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জাতি স্বাধীনতা লাভ করলেও, আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্বাধীনতা এখনো পুরোপুরি অর্জন করতে পারিনি।
‘মানবতাকে ধর্মের মর্মবাণী’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের পাশাপাশি মানবতার কল্যাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য। সম্মিলিতভাবে এ ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিতে হবে আমাদের সামাগ্রিক অগ্রযাত্রায়।
অনুষ্ঠানে আবদুল হামিদ ও তার স্ত্রী রাশিদা খানম অতিথিদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলাসহ বিভিন্ন পূজা কমিটির নেতা এবং বিশিষ্ট হিন্দু ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।