রাষ্ট্রপতি
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে যারা নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি সকাল ৭টার দিকে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে দেশের কৃতি সন্তানদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
এ সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল বিউগলের সঙ্গে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান বাজায়।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শ্রদ্ধা জানাতে আসা লোকজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
১ সপ্তাহ আগে
রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করলেন প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগের অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের কাছে ‘সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২৩’ পেশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে এ প্রতিবেদন পেশ করেন প্রধান বিচারপতি।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনসহ প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। সুপ্রিম কোর্টের সামগ্রিক কার্যক্রম সম্পর্কেও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট হলো বিচারপ্রার্থীদের সর্বশেষ ভরসাস্থল। আশা করি, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগ যৌক্তিক সময়ে বিচারপ্রার্থীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ও আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
৩ সপ্তাহ আগে
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌ বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দিবসটি উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্য ও তাদের পরিবারকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনী গর্বের প্রতীক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি মিশনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে।’
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণ করলেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
রাষ্ট্রপতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরবর্তী সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
সাক্ষাৎকালে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচিসহ তাদের স্ব স্ব বাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান।
রাষ্ট্রপতির সচিবরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর একটি স্মরণীয় দিন: রাষ্ট্রপতি
১ মাস আগে
স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর একটি স্মরণীয় দিন: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনী আমাদের গর্ব ও আস্থার প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর তিন বাহিনী সম্মিলিতভাবে হানাদার বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে। তিন বাহিনীর সম্মিলিত এই প্রয়াস আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করে। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর একটি স্মরণীয় দিন।
আগামীকাল ২১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সশস্ত্র বাহিনী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৪ উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সব সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি।
এ সময় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ ও ত্রিশ লাখ শহিদসহ মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে দেশ ও দেশের বাইরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর বীর সদস্যদের স্মরণ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জাতীয় সংকট মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাসহ জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: সাবিনাদের রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
এ বছর জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ববোধ, ধৈর্য ও দেশপ্রেম সাধারণ মানুষের প্রশংসা অর্জন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, কেবল দেশেই নয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে পেশাগত দক্ষতা, সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বহির্বিশ্বেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছেন।
বাণীতে তিনি আরও বলেন, একটি শক্তিশালী, আধুনিক ও প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অন্যতম পূর্বশর্ত। সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বাহিনীসমূহে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম, যা নিঃসন্দেহে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক, দক্ষ ও গতিশীল করবে।
সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে নেতৃত্বের প্রতি গভীর আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ, পেশাগত দক্ষতা এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে বাহিনীর সদস্যগণ সর্বদা রাষ্ট্র ও নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনীর গৌরব সমুন্নত রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির অপসারণের চেষ্টার পেছনে নির্বাচন বিলম্বের চক্রান্ত দেখছে বিএনপি
সবশেষে সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং বাহিনীসমূহের সব সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’
১ মাস আগে
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিকে রাজনৈতিক হিসেবে দেখছে সরকার: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের ক্রমবর্ধমান দাবিকে 'আইনি ও সাংবিধানিক' বিষয় হিসেবে না দেখে বরং রাজনৈতিক বিষয় হিসেবে দেখছে।
এই বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক ঐকমত্যের মাধ্যমে পৌঁছানো হবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে উপদেষ্টা বলেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি উঠেছে এবং এ দাবি জোরালো হচ্ছে।
রিজওয়ানা বলেন, ‘এটা একটা রাজনৈতিক বিষয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকার নদী ও খালগুলোকে বাঁচাতে হলে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান
উপদেষ্টা আরও বলেন, এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে।
তিনি বলেন, বিষয়গুলো নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। ‘এটা বলা যাবে না যে আমরা তাড়াহুড়োর মধ্যে আছি, তবে একই সময়ে, জিনিসগুলো বিলম্ব করার কোনো সুযোগ নেই।’
উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় রাষ্ট্রপতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে গেজেট জারি করতে তিন-চার দিন সময় লাগতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ও প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পানি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে সহায়তা বাড়াবে চীন: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
১ মাস আগে
রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত আসবে: উপদেষ্টা নাহিদ
আইনি বা সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বরং রাজনৈতিকভাবে আলোচনা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গভবন বা অন্য কোথাও কোনো ধরনের বিক্ষোভের প্রয়োজন নেই। জনগণের বার্তা পেয়েছি, আলোচনা চলছে। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে যেতে হবে। তাই সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার জন্য মেডিকেল টিম গঠন ‘রুটিন বিষয়’
উপদেষ্টা বলেন, ‘জনগণের সমর্থনে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা বিদ্যমান সংবিধান এবং রাষ্ট্রপতিকে রেখেই সরকার গঠন করেছিলাম। তবে যদি আমাদের মনে হয়, এই সেটআপে রাষ্ট্র পরিচালনার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বা জনগণ অসন্তুষ্ট, তাহলে আমরা এ বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করব।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি থাকবেন কী থাকবেন না, এটি আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়। এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত হয়তো আসবে।’
তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার ওপর। এটি আমাদের এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার। আমরা জনগণের প্রতি আহ্বান রাখছি যাতে সচেতন থাকি, শান্ত থাকি।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো ধরনের সুবিধাভোগী গোষ্ঠী বা নানা ধরনের যে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে, এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হয় যাতে তারা সুবিধা নিতে পারে। সে বিষয়ে সচেতন এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে একটা আল্টিমেটাম দিয়েছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে একটা আলোচনা করছি। এ বিষয়ে কোনো নির্ধারিত সময় নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন আলোচনার মাধ্যমে আমরা একটা যৌক্তিক সিদ্ধান্তে যেতে পারব, যেটা আমাদের রাষ্ট্র ও জনগণের পক্ষে যাবে, সে সময় আমরা সিদ্ধান্ত নেব এবং সবাইকে জানিয়ে দেব।’
তিনি বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি তারা বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্রসহ মিছিল করছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালাচ্ছে। পাশাপাশি চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের দূরত্ব বেড়েছে। আমরা যাতে সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখি। ফ্যাসিবাদী শক্তি যাতে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে একটা প্রতিরোধ তৈরি করি।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক নয়, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২৫২ এসআইকে অব্যাহতি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ মাস আগে
রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
রাষ্ট্রপতির বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে যথাসময়ে গণমাধ্যমকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের অংশীদার। এটা (বিএনপির সঙ্গে আজকের বৈঠক) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপের অংশ। কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা তা সময়মতো আপনারা জানতে পারবেন।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ বা অপসারণের সম্ভাবনা নিয়ে সাংবাদিকদের বারবার প্রশ্নের জবাবে আলম এ মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ সম্পর্কে আশ্বস্ত করে প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা সুস্থ আছেন এবং যথারীতি বৈঠক করছেন।
আরও পড়ু্ন: রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবন ঘিরে বিক্ষোভ, নিরাপত্তা জোরদার
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের বিষয়ে আইন উপদেষ্টার অবস্থানকে সরকার সমর্থন করে।
তিনি আরও বলেন, 'আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এর আগে রাষ্ট্রপতির বিষয়ে যা বলেছেন, তার সঙ্গে সরকার একমত। রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র না পাওয়ার বিষয়ে মিথ্যাচারের জন্য রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে অভিযুক্ত করে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, রাষ্ট্রপতির বক্তব্য তার শপথ লঙ্ঘন করেছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র না পেয়ে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
ড. আসিফ বলেন, 'শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি বলে রাষ্ট্রপতির দাবি মিথ্যা ও শপথের লঙ্ঘন।
আরও পড়ু্ন: রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ
২ মাস আগে
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবন ঘিরে বিক্ষোভ, নিরাপত্তা জোরদার
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বঙ্গভবনের আশেপাশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিন-রাত আন্দোলনের পর বঙ্গভবনের সামনে বুধবার সকাল থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
রাতে বঙ্গভবনে প্রবেশের চেষ্টার ঘটনা ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার পর আজ নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বঙ্গভবনের সামনের রাস্তায় বসানো হয়েছে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী। চার স্তরের বেষ্টনীর পাশাপাশি রাখা হয়েছে ব্যারিকেড ও তিন স্তরের কাঁটাতারের বেড়াও।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ
সকাল থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও এখন পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের তেমন কোনো জমায়েত দেখা যায়নি। তবে বিক্ষিপ্তভাবে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।
বঙ্গভবনের প্রধান ফটকের সামনে সশস্ত্র অবস্থান নিয়েছেন বিপুল সংখ্যক এপিবিএন, বিজিবি, পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্য। প্রস্তুত রাখা হয়েছে এপিসি, জলকামানসহ রায়ট কারও।
রাষ্ট্রপতি কার্যালয় জানায়, বিক্ষোভ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়ার ব্যাপারে কোনো চিন্তাভাবনা নেই।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল থেকে নানা সংগঠন বঙ্গভবনের সামনে জড়ো হয়।
দিনভর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটলেও গতকাল রাতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, টিয়ার গ্যাস, গুলি বিনিময় হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ৫২, ৫৩ ও ৫৪ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা পদত্যাগ প্রসঙ্গে বলা আছে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সংসদ কার্যকর থাকতে হবে। সংসদ সদস্যরাই কেবল রাষ্ট্রপতি অপসারণ বা অভিসংশন করার ক্ষমতা রাখেন। রাষ্ট্রপতি দেশের একমাত্র নাগরিক যার নিয়ন্ত্রণে তিন বাহিনী (সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহী)।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
২ মাস আগে
রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন একদল আন্দোলনকারী।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে স্বাধীনতা ও সুরক্ষা প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: বিসিএস কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে চট্টগ্রামে নার্সদের কর্মবিরতি
পরে হাইকোর্ট মাজার মোড়ের কাছে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। তবে বাধা অতিক্রম করে তারা বঙ্গভবন পর্যন্ত অগ্রসর হন।
এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা বঙ্গভবনের ভেতরে অবস্থান ধর্মঘটের চেষ্টা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সেখানে যেতে বাধা দেন। এরপর বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবনের বাইরে আধা ঘণ্টা সমাবেশ করে বক্তব্য দেন।
দাবি মানা না হলে বুধবার বিকাল ৪টায় আবারও বঙ্গভবনের সামনে জড়ো হবেন বলে ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কল্যাণে কাজ করা ‘রক্তিম জুলাই ২৪’ নামে আরেকটি গ্রুপ। রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবি জানিয়ে কয়েকজন আহত ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে পৃথক অবস্থান ধর্মঘটের আয়োজন করে তারা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতির মন্তব্যের পর সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে একটি পোস্টার শেয়ার করে গণসমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
সম্প্রতি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মোহাঃ সাহাবুদ্দিন উল্লেখ করেন, তিনি শুনেছেন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, তবে পদত্যাগপত্রসহ এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার মতো কোনো দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই।
তিনি বলেন, 'আমি অনেক চেষ্টা করেও পদত্যাগপত্র জোগাড় করতে পারিনি। হয়তো তিনি সময় পাননি।’
রবিবার পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন 'জনতার চোখ'-এ এই কথোপকথন প্রকাশিত হয়।
নজিরবিহীন গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে গত ৫ আগস্ট ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রধান সড়ক থেকে ছোট যানবাহন অপসারণের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
২ মাস আগে
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তারা এ দাবি জানান।
একই সঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করারও দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিতর্ক এড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের মধ্যে সারজিস আলমও এসব দাবি আদায়ে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান।
সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে সারজিস বলেন, 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চায় যে, ‘আবারও প্রয়োজন হলে আমরা আমাদের চোখ দিতে প্রস্তুত, পা দিতে প্রস্তুত, হাত দিতে প্রস্তুত, এমনকি জীবন দিতেও প্রস্তুত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী ছাত্রলীগের উত্থান সহ্য করা হবে না, কারণ তারা আমাদের ভাইদের হত্যার জন্য দায়ী। প্রাণ দিয়ে হলেও আমরা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নামের ফ্যাসিবাদীদের প্রতিহত করার জন্য আজীবন লড়াই করে যাব।’
রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গে আরেক সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘আমরা আমাদের বিপ্লব এই শহীদ মিনার থেকেই শুরু করেছিলাম। ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা বিপ্লবের ভয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। সেদিন আপনি সেটা নিশ্চিত করেছিলেন কিন্তু এখন মিথ্য়ে কথা বলছেন কেন? আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই- খুনি হাসিনা যেভাবে পালিয়ে গেছে, তেমনি ছুপ্পুকেও পদত্যাগ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবারের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান মাসুদ।
বর্তমান সংবিধান বাতিলের দাবির কথা উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ না করলে তার সরকারি বাসভবন বঙ্গভবন ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: হাসিনাকে পুনর্বাসন করতে চান রাষ্ট্রপতি: বিএনপি
২ মাস আগে