জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বাংলাদেশ আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) ঢাকায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লিউএফপি), জার্মান রেড ক্রস (জিআরসি), কেয়ার ও অ্যাকশন এগেইনস্ট হাঙ্গারের (এসিএফ) সঙ্গে যৌথভাবে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক ইভেন্টের আয়োজন করে। যা শক রেসপন্সিভ সোশ্যাল প্রোটেকশন ইন অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন শীর্ষক একটি জাতীয় পরামর্শমূলক কর্মশালা।
কর্মশালাটি উদীয়মান বিভিন্ন বাধা এবং সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই জাতীয় পরামর্শমূলক কর্মশালার প্রাথমিক উদ্দেশ্য- এফএও, ডাব্লিউএফপি, জিআরসি, কেয়ার, এসিএফ সংস্থাগুলোর প্রস্তাবনা এবং পরামর্শগুলো যাচাই করা। এই সংস্থাগুলো বাংলাদেশে অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন উইথ সোশ্যাল প্রোটেকশন প্রোগ্রামের পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে কাজ করব: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
আলোচনায় বাংলাদেশের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির ম্যাপিং উপস্থাপন করা হয়। সেই সঙ্গে সামাজিক সুরক্ষা কাঠামোর মধ্যে আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে জলবায়ু এবং আবহাওয়া-সংক্রান্ত বিপর্যয়ের আগে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, কৃষক এবং সামুদ্রিক মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কাজ করা, অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করা এবং কার্যক্রমগুলো সমন্বিত করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশে এফএও প্রতিনিধি ড. জাওসিন শি গতানুগতিক ব্যবস্থার বাইরে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন এবং দুর্যোগ বিপর্যয়ের পর্যায়ে যাওয়ার আগেই দুর্যোগের পূর্বাভাস, দুর্যোগ প্রশমন এবং দুর্যোগে সাড়া দেওয়ার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শুধু বৈধ অপারেটররা টিভি চ্যানেলের ফিড গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এফএও খাদ্য ও কৃষি খাতে স্থিতিস্থাপকতা ও দুর্যোগ-সংবেদনশীল সামাজিক সুরক্ষার অগ্রগতিতে বাংলাদেশ সরকার এবং এর অংশীদারদের সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একসঙ্গে আমরা এমন ভবিষৎ গঠন করতে পারি যেখানে পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক না কেন সকল বাংলাদেশি নাগরিক ভালো পরিবেশে ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারবে।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেন, ‘সম্ভাব্য আকস্মিক বন্যা বা খরার জন্য হাওর ও বরেন্দ্র অঞ্চলে বৃহৎ আকারে সিমুলেশন পরিচালনা করা অপরিহার্য। এই ধরনের অনুশীলন কার্যক্রম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে তত্ত্বাবধান করা হয়। সম্ভাব্য দুর্যোগ প্রশমনে কমিউনিটির সদস্যদের প্রস্তুত করতে এই ধরনের অনুশীলন খুব গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি এই ধরণের কার্যক্রম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সামগ্রিক স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়।’
জাতীয় পরামর্শমূলক কর্মশালাটিতে সামাজিক সুরক্ষা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক এবং অনুশীলনকারীদের নিয়ে উচ্চ-পর্যায়ের প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়।
প্যানেল আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশে শক রেসপন্সিভ সোশ্যাল প্রোটেকশন অগ্রগতির মূল এবং উদীয়মান বিষয়গুলো গভীরভাবে বিশ্লেষণের পাশাপাশি কৌশলগত সুপারিশ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী