বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শিক্ষাভবন-‘এ’ এর সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের চার দফা হলো- ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুকের পদত্যাগ, করতে হবে, শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবিত তালিকা থেকে ছাত্র উপদেষ্টা দিতে হবে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের ক্লাস, পরীক্ষা ভাইভাসহ কোনো একাডেমিক কর্মকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারবে না এবং এই ঘটনার জন্য বিভাগীয় প্রধানকে জবাবদিহি করতে হবে।
জানা যায়, ২৯ ফেব্রুয়ারি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৩০ বছর পূর্তি উৎসবে বহিরাগত শিক্ষক দ্বারা এক শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় বিভাগের কিছু শিক্ষক উপস্থিত থাকলেও এ বিষয়ে কোন বাধা প্রদান না করে উল্টো ওই বহিরাগত শিক্ষককে উৎসাহিত করার অভিযোগ উঠেছে।
গত ২ মার্চ শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় প্রধানের কাছে পূর্বের ঘটনার জবাবদিহিতা ও বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগসহ চার দফা দাবি পেশ করে। দাবি পেশের পরদিন বিভাগের কিছু নির্দিষ্ট শিক্ষার্থী ও লাঞ্ছনার শিকার শিক্ষার্থীকে বিভাগীয় প্রধানের রুমে তলব করা হয়। ওই শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় প্রধানের রুমে প্রবেশ করলে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী সেই রুমের সামনে অবস্থান নেয়।
এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে কিছু শিক্ষকের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের জের ধরে ৪ মার্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস পরীক্ষা বন্ধের নোটিশ টাঙিয়ে দেয় বিভাগীয় প্রশাসন। কয়েকদিন ধরে চলা এমন পরিস্থিতিতে সপ্তম দিনে এসে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, পূর্ববর্তী চার দফা দাবি মেনে নেয়া এবং ক্লাস পরীক্ষা শুরু করার দাবিতে এই আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছি। দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
এ ব্যাপারে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শামসুন নাহার বেগমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও, নম্বর ব্যস্ত থাকায় কথা বলা যায় নি।