শুক্রবার কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি রতন শেখ বলেন, দৈনিক বাংলাদেশ সময় এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান জিডিটি করেন।
ওসি বলেন, ‘যেহেতু ঘটনাটি কুষ্টিয়ায় ঘটেনি, তাই আমরা মামলা নিতে পারি না। অভিযোগটি একটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।’
জিডিতে মোস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ করেন, শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর এলাকায় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে, জামায়াতে ইসলামীর যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা সে বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ড. কামাল হোসেন তাদের ‘হুমকি’ দেন।
অভিযোগে তিনি আরও বলেন, ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের শুধু হুমকি দেয়নি, তিনি সরাসরি সম্প্রচারের সময় তাদের সমালোচনা করে বলেন, ‘কত টাকা পেয়েছো? কাদের টাকায় এসব বেহুদা প্রশ্ন করছো? তোমাদের নাম কি? আমি দেখে নেবো ... কোন পত্রিকায়/টিভিতে কাজ করো? চিনে রাখব।’
মোস্তাফিজুর রহমান উল্লেখ করেন, ড. কামালের এ ধরনের বক্তব্যে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমাজের গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
অভিযোগে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার হয়েছে। ড. কামাল হোসেনের এই ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনমূলক বক্তব্য বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং মত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এবং বাংলাদেশ পেনাল কোড অনুযায়ী, এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ।’
কুষ্টিয়া থানা পুলিশের সুপারইনটেনডেন্ট এসএম তানভীর আরাফাত জিডি জমা দেওয়ার কথা নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অধীনে দারুস সালাম থানায় জিডিটি পাঠানো হয়েছে।