সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই যমুনা নদীর তীর সংরক্ষরণ প্রকল্পের কাজ শুরু করে নির্বাচিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এ প্রকল্পের ৩ ও ৪ নং ফেইজের মাছুয়াকান্দি ও খুদবান্দি অংশে পুরাতন জিও ম্যাড, ধুলা মিশ্রিত পাথর ব্যবহার, সিসি ব্লকে পানি দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজন জানান, এ প্রকল্পের কাজে যা ইচ্ছে তাই করা হচ্ছে। মনে হয় দেখার কেউ নেই।
এ কাজে নির্বাচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে এই কাজ শেষ করা হবে মর্মে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক চুক্তিবদ্ধ হয়। এ কাজে প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয় প্রায় ৪০ কোটি টাকা। কাজগুলোর মধ্যে ৪৫ ইঞ্চি বাই ৪৫ ইঞ্চি সিসি ব্লক ৬৪৩৪৬টি, ৪০ ইঞ্চি বাই ৪০ ইঞ্চি সিসি ব্লক ১৪০২০টি, ৩৫ ইঞ্চি বাই ৩৫ ইঞ্চি সিসি ব্লক ৯১৩৬৫টি এবং ৪০ ইঞ্চি বাই ২০ ইঞ্চি ৪৭৫০ সিসি ব্লক তৈরির নিদের্শনা রয়েছে।
এ প্রকল্প কাজের নির্ধারিত সময় ঘনিয়ে আসলেও কাজের তেমন গতি দেখা যাচ্ছে না। সিসি ব্লকের মান তেমন ভালো নয়। গত বছরের জিও ম্যাড জোড়াতালি দিয়ে বসিয়ে তার ওপর সিসি ব্লক স্থাপন করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা এ অভিযোগ নিয়ে ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবগত করলেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, এ প্রকল্পের কাজে সামান্য কিছু অনিয়মের আশ্রয় নিলেও সেসব উপকরণ প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং এখন থেকে এ প্রকল্পের কাজের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এ প্রকল্প কাজের ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হবে বলে তিনি আশা করছেন।