রবিবার মাহফুজুর রহমান নামের এক আইনের ছাত্র এ রিট করেছেন বলে জানান তার আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল সুমন।
বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
পরে সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার দিয়ে বলেছেন, ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৯ শতাংশের বেশি লোনের ক্ষেত্রে ইন্টারেস্ট নিতে পারবেন না। মৌখিকভাবে বলেছিলেন প্রতিষ্ঠানগুলো ৯ শতাংশের বেশি নিতে পারবেন না, আর আমানতকারী যারা টাকা রাখেন তাদের ৬ শতাংশের বেশি সুদ দিবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে আমানতকারীদের বিষয়ে নাই। কিন্তু সুদের হার ৬ শতাংশের কারণে এবং কমানোর কারণে ২ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কি পলিসি ডিশিসনের কারণে এটা করা হয়েছে সেটা জানতে আদালতের কাছে বক্তব্য তুলে ধরবো। সার্কুলারে শুধু ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের কথা আছে। অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কথা নাই। এখন তারা চাইলে যা ইচ্ছা ইন্টারেস্ট নিতে পারবে। শুধু ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান কেন, পলিসি ডিশিসনের ক্ষেত্রে সবাইকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।’
সুমন বলেন, ‘রিটে প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অন্তবর্তীকালীন আদেশে এর কার্যকারিতা স্থগিত চেয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক এসে বলুক কি কারণে সার্কুলারটি বৈধ।’
রিটে অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরসহ তিনজনকে বিবাদী করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।