রবিবার সকালে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ঢাংমারী খালসংলগ্ন বানিয়াশান্তা এলাকায় গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়ে ওই হরিণটি।
এনিয়ে গত নয় সপ্তাহে সুন্দরবনসংলগ্ন লোকালয় থেকে পাঁচটি হরিণ উদ্ধার করলো বন বিভাগ।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, সুন্দরবন ছেড়ে ঢাংমারী খাল পার হয়ে মায়া হরিণটি খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিয়াশান্তা গ্রামে ঢুকে পড়ে। স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করে হরিণটি ধরে ফেলে। খবর পেয়ে বন বিভাগের সদস্যরা হরিণটি উদ্ধার করে করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে আসে। হরিণটি অক্ষত এবং সুস্থ রয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির আরও জানান, দুপুরে হরিণটিকে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্র এলাকায় বনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ছাড়া পেয়ে হরিণটি দৌড়ে সুন্দরবনের গহীনে চলে গেছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো.মাহমুদুল হাসান জানান, হরিণ সাধারণত বনের মধ্যে দলবেঁধে চলাফেরা করে। ধারণা করা হচ্ছে মায়া হরিণটি বাঘের তাড়া খেয়ে সুন্দরবন ছেড়ে খাল সাঁতরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। ডিএফও মো.মাহমুদুল হাসান আরও জানান, সুন্দরবনে মায়া হরিণের খুব একটা দেখা মেলে না। হরিণটিকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করার পর সুন্দরবনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। লোকালয় থেকে একের পর এক হরিণ উদ্ধারের ঘটনায় বন বিভাগের টহল জোরদার করা হয়েছে বলে ডিএফও জানান।