সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগামীকাল বুধবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪০ গ্রামের মানুষ।
১৯২৮ সাল থেকে হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) এই অঞ্চলে চন্দ্র মাসের হিসাবে রোজা, ঈদ এবং অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের রীতি শুরু করেন।
এরপর থেকে হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফের সঙ্গে অনুসারী হিসেবে পাশ্ববর্তী ফরিদগঞ্জ, মতলব, কচুয়া, শাহরাস্তি উপজেলাসহ জেলার চল্লিশ গ্রামে আগাম ঈদ পালন করে আসছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলার গ্রামগুলো হচ্ছে- সাদ্রা, সমেশপুর, অলীপুর, বলাখাল, মনিহার, ভোলাচোঁ, জাখনী, সোনাচোঁ, প্রতাপপুর, বাসারা।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার উভারামপুর, উটতলী, মুন্সিরহাট, মূলপাড়া, বদরপর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচর, বালিথুবা, কাইতাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, ষোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর।
মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামে আগাম রোজা ও ঈদ পালন করা হয়।
সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মাওলানা আরিফউল্যাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, আগে থেকেই সৌদি, আফগানিস্তান, মিশরের সঙ্গে মরহুম পীর সাহেব ও তার অনুসারীগণ ঈদ পালন করেছেন। আমরাও তার ধারাবাহিকতায় বুধবার(১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের প্রস্তুতি নিয়েছি।
প্রধান ঈদের জামাত সাদ্রা দরবার শরীফ প্রাঙ্গণে সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে তারা রোজা পালন শুরু করেন গত ১১ র্মাচ সোমবার থেকে। এ ব্যাপারটি ধর্মীয় ও বেশ সংবেদনশীল হওয়ায় কেউ কিছু বলছেন না বলে জানান তিনি।