হিন্দু ও সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং তাদের উপাসনালয়ের, বিশেষ করে দুর্গা পূজার এই উৎসবের সময়ে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ভারত সরকার।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, 'আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি ঢাকার তাঁতীবাজারের পূজামণ্ডপে হামলা হয়েছে এবং সাতক্ষীরায় যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে।’
বাংলাদেশে পূজামণ্ডপে হামলা, হিন্দু মন্দির ভাঙচুর ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এগুলো নিন্দনীয় ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে তারা একইভাবে বিভিন্ন জায়গায় মন্দির ও দেবদেবীদের অবমাননা ও ক্ষয়ক্ষতি করছে।’
এর আগে গত ৫ অক্টোবর বাংলাদেশে প্রতিমা ভাঙচুর ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, “এ ধরনের কর্মকাণ্ড 'ঠিক নয় এবং এগুলো ভালো নয়'।”
সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এই উৎসব প্রত্যেকের জীবনে সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে বলে তারা আশা করছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের রক্ষার বিষয়ে তারা একাধিকবার এবং তাদের উচ্চ পর্যায় থেকেও এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে।
মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আশা করি যে সেখানে (বাংলাদেশে) সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের নিরাপত্তা দেবে এবং তাদের চাহিদা পূরণ করবে।’