বাংলাদেশে হেযবুত তওহীদ সদস্যদের ওপর ক্রমবর্ধমান হামলা ও হুমকির প্রতিবাদে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে হেযবুত তওহীদ ইউএসএ।
সোমবার (৭ অক্টোবর) নিউইয়র্ক সময় সকাল ১১টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অব্যাহত হামলা ও হুমকি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
এছাড়াও, জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর স্মারকলিপি, গত ৫ আগস্টের পর হেযবুত তওহীদের ওপর হুমকি ও হামলার এবং ২০০৯ ও ২০১৬ সালে হেযবুত তওহীদের ইমামের বাসভবনে ধ্বংসযজ্ঞের ছবি, ভিডিও ও বিভিন্ন ডকুমেন্ট দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে হেযবুত তওহীদ ইউএসএর প্রেসিডেন্ট হারুন এ রশিদ বলেন, ‘হেযবুত তওহীদের সর্বোচ্চ নেতা ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের জীবন হুমকির মুখে। উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি ইমামের বাসভবন ধ্বংস করার হুমকি দিয়েছে। এরইমধ্যে তারা হেযবুত তওহীদের ইমামের বাড়ি সংলগ্ন প্রায় পঞ্চাশটি পরিবারের ওপর হামলা করেছে। সারাদেশে ৮টি জেলা কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। যার ফলে সংগঠনের সদস্যদের কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
হারুন এ রশিদ আরও বলেন, হেযবুত তওহীদ একটি অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংস্কারমূলক আন্দোলন। গত এক দশকে ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে প্রায় দুই লক্ষাধিক জনসচেতনতামূলক সভা করেছে তারা। আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি, নারীদের অগ্রগতি এবং সুস্থ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পক্ষে কথা বলছে, যা ধর্মান্ধ গোষ্ঠীটির দৃষ্টিভঙ্গির বিপরীত। যে কারণে উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীটির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে হেযবুত তওহীদ।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি হেযবুত তওহীদের ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের বাড়ির সামনে একাধিক বেআইনি সমাবেশ করে। সেখানে তারা হেযবুত তওহীদকে উৎখাত করার হুমকি দেয়। একইভাবে ২০১৬ সালেও হামলা চালানো হয়। সে সময় মিথ্যা গুজব রটিয়ে নির্মাণাধীন একটি মসজিদ ধ্বংস, বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে জবাই করে হত্যা করা হয়, যার কোনো বিচার হয়নি।
এসময় জাতিসংঘের কাছে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের, বিশেষ করে অরক্ষিত নারী, শিশু ও বয়স্কদের নিপীড়ন ও নির্যাতন থেকে রক্ষা করার জোর দাবি জানান হারুন এ রশিদ।
মানববন্ধনে বাংলাদেশে আন্দোলনটির সদস্যদের ওপর হামলা, হুমকির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান হেযবুত তওহীদের ইউএসএ সদস্যরা।
পাশাপাশি সহিংসতা প্রতিরোধে ও তাদের মানবাধিকার রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন।