এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি করপোরেশন কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সেসব পদক্ষেপের কার্যকারিতা কী সে সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হয় বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে।
শুনানিকালে ঢাকা শহরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ও দুই সিটির পদক্ষেপে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট।
আদালত বলেন, গণমাধ্যমে রিপোর্ট এসেছে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে শিশুসহ ২১ থেকে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে কয়েক হাজার। এ পরিস্থিতিতে একজন মেয়র বলেন এখন পর্যন্ত কিছুই হয়নি। আমাদের প্রশ্ন উনি একথা কীভাবে বলেন? আমরা তো দেখতি পাচ্ছি এটা মহামারি আকারে রূপ নিতে বাকি নেই।
পরে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ বা নিধনে অকার্যকর ওষুধ আমদানি, সরবরাহ ও কেনায় দুর্নীতি ও জড়িতদের ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে কার্যকর ওষুধ আমদানি করে তা ছিটানোর ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে আদেশে।
আগামী ২০ আগস্ট এই আদেশের অগ্রগতি প্রতিবেদন দুই সিটি করপোরেশনকে আদালতে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। ওইদিন এ ব্যাপারে পরবর্তী শুনানি হবে।
আদালতে দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নুরুন্নাহার নূপুর। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে গত ২ জুলাই হাইকোর্ট ঢাকা শহরে ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে ঢাকার দুই সিটি (উত্তর ও দক্ষিণ) করপোরেশনের মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রতি আদেশ দেয়।
রাজধানীতে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণের দাবিতে করা এক রিট আবেদনের শুনানিকালে ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণের ওই আদেশ দেয়া হয়।
সে অনুযায়ী বুধবার সিটি করপোরেশনের আইনজীবী নুরুন্নাহার নূপুর প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
এ ব্যাপারে নূপুর জানান, সিটি করপোরেশন প্রতিদিন ওয়ার্ডভিত্তিক মশা নিধনের ওষুধ ছেটাচ্ছে। মশা নিধনে সিটি
করপোরেশন যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।