মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর গল্লামারী এলাকা থেকে সাংবাদিক হেদায়েৎ হোসেন মোল্লাকে বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
তবে সাংবাদিক হেদায়েৎ হোসেন মোল্লার দাবি, ‘প্রেসক্লাব থেকে নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার বাসায় যাওয়ার পথে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং তাকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করা হয়।’ হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা স্থানীয় দৈনিক প্রবাহের সিটি এডিটরও।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫,৩১,৩৩ ও ৩৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় খুলনা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি, ন্যাশনাল রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার মো. রাশিদুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, ‘গত রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনের মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে গত সোমবার অন লাইন নিউজ পোর্টাল ‘‘বাংলা ট্রিবিউন’’ ও ‘‘দৈনিক মানবজমিন’ পত্রিকায় ‘খুলনা-১ ভোটারের চেয়ে ২২৪১৯ ভোট বেশি পড়েছে!’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এমন সংবাদ প্রকাশের কারণে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ কারণে মো. রাশিদুল ইসলাম ও হেদায়েৎ হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে বটিয়াঘাটা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫,৩১,৩৩ ও ৩৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।’
বটিয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য দিয়ে অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে নগরীর গল্লামারী এলাকা থেকে হেদায়েৎ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।’
বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘সোমবার মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-১ আসনের সংবাদ প্রকাশ করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’