তারা বলেন, শাহ আলমগীর সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে যেমন সোচ্চার ছিলেন তেমনি এ দেশে সাংবাদিকতাকে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত পরিশ্রম করে গেছেন।
আলমগীরের সাথে সংবাদকর্মীদের কাটানো নানা আনন্দ-বেদনার স্মৃতি তুলে ধরতে বাংলাদেশ সম্প্রচার সাংবাদিক কেন্দ্র (বিজেসি) এ স্মরণ সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আলমগীরের স্মরণে প্রার্থনা সঙ্গীত ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। প্রদর্শন করা হয় তার কর্মময় জীবনের ওপর একটি ভিডিও চিত্র। এরপর তার নানা অবদানের কথা তুলে ধরেন সহকর্মী, সহযোদ্ধা ও বন্ধুরা।
বিজেসির চেয়ারম্যান ও মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা প্রধান রেজওয়ানুল হকের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্থার সদস্য সচিব ও একাত্তর টেলিভিশনের বার্তা প্রধান শাকিল আহমেদ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিজেসির ট্রাস্টি রাশেদ আহমেদ।
অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, প্রধান তথ্য কমিশনার মোর্তুজা আহম্মদ, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মল বাবু, দৈনিক সংবাদের সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান, প্রথম আলোর সহ-সম্পাদক সোহরাব হাসান, দৈনিক সমকালের সহ-সম্পাদক অজয় দাশ গুপ্ত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমীন এবং আলমগীরের স্ত্রী ফৌজিয়া বেগম।
অনুষ্ঠান শেষে আলমগীরের পরিবারের হাতে বিজেসির পক্ষ থেকে একটি জলছবি স্মৃতি হিসেবে তুলে দেন জিটিভির প্রধান সম্পাদক ও বিজেসির অন্যতম ট্রাস্টি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।
উল্লেখ, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক শাহ আলমগীর ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।