সাংবাদিক
সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে একক ইউনিয়ন গঠনের পরামর্শ সংস্কার কমিশনের
আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সাংবাদিকদের মর্যাদাও নিশ্চিত হবে না বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ। তিনি বলেছেন, এই কমিশনের কাজ হলো, স্বাধীন, বস্তুনিষ্ঠ ও শক্তিশালী গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করার জন্যে সংস্কার সুপারিশ করা। সে কারণে আমরা বলতে পারি, স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য যেটা প্রয়োজন, সেটা হলো—আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যাতে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করতে পারে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
কমিশন প্রধান বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অমরা প্রতিবেদন পেশ করব। এরপর সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে সরকারের ওপর সাংবাদিকদেরই চাপ দিতে হবে। সাংবাদিকরা চাপ না দিলে এই সংস্কারের একটিও বাস্তরায়ন হবে না।
কামাল আহমেদ বলেন, সাংবাদিকদের ইউনিয়ন বিভক্ত হয়ে গেছে। অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হলে তাদের পক্ষ থেকে একক ইউনিয়নের জন্য চাপ দিতে হবে। সংস্কার সম্পর্কে গণমাধ্যমের বাস্তবতা সম্পর্কে আমরা এর আগেও সাতটি জায়গায় শুনেছি। একই কথা বলা হয়েছে।
ওয়েজবোর্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটি সংস্কার কমিশনের আওতাভুক্ত নয়।’
আরও পড়ুন: ৭ খাতে সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না: জামায়াত সেক্রেটারি
সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের মতামতের পাশাপাশি গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় অংশীদার পাঠক ও দর্শক-শ্রোতা, তাদের মতামতও বিবেচানায় নেব। এ কারণে আমরা জাতীয় ভিত্তিতে একটি গণমাধ্যম সমীক্ষা ন্যাশনাল মিডিয়া সার্ভে করেছি। ১ থেকে ৭ জানুয়ারি সারা বাংলাদেশে প্রায় ৪৫ হাজার বাড়িতে গিয়ে আমাদের তথ্য সংগ্রহকারীরা মানুষের মতামত নিয়ে এসেছেন। তার ভিত্তিতে আমরা জানতে পেরেছি, গণমাধ্যম সম্পর্কে তাদের কী প্রত্যাশা রয়েছে। এগুলোর সবকিছুই বিবেচনায় নিয়ে আমাদের কাজ এগোবে। সেভাবেই আমরা আমাদের সংস্কারের প্রস্তাব তুলে ধরব।’
এ সময় কমিশনের সদস্য মোস্তফা সবুজ ও আক্তার হোসেন খানসহ সাংবাদিক বাবুল হোসেন, দেলোয়ার খান, সুলতান মাহমুদ কনিক, হারুনুর রশিদ, আবু সালেহ মো. মুসা, হোসাইন শাহিদ, কামাল হোসেন, নজীব আশরাফ, এম এ জলিল, কিবরিয়াসহ ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
১ সপ্তাহ আগে
নবাবগঞ্জে সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম
নবাবগঞ্জে নাজমুল হোসেন অন্তর নামে এক সাংবাদিককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের রাহুৎহাটি সেতুতে এ ঘটনা ঘটে।
নাজমুল হোসেন অন্তর নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের খানেপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি।
আহত নাজমুল জানান, দোহার থেকে নিজের মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে মুখোশধারী দুই ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় মোটরসাইকেল ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকে ধাওয়া করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ও মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকরা ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান।
নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. হরোগবিন্দ সরকার বলেন, নাজমুলের ডান হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর জখম হওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমরা তার উন্নত চিকিসার জন্য রাতেই তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আজ (রবিবার) দুপুর দেড়টায় তার হাতে ও পায়ে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলে জেনেছি।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে মাইক্রোবাসচাপায় নারী নিহত, চালক আটক
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়দের সহায়তায় একই ইউনিয়নের দেওতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ইছামতি নদীর পাড় থেকে নাজমুলের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার মোবাইলটি এখনও পাওয়া যায়নি। তদন্ত করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এ ব্যাপারে রবিবার দুপুরে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে নবাবগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান ওসি মমিনুল।
১ সপ্তাহ আগে
ভোরের কাগজ খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ
অফিস খুলে দেওয়া ও প্রকাশনা অব্যাহত রাখার দাবিতে দৈনিক ভোরের কাগজের সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানী মালীবাগে পত্রিকাটির অফিসের সামনেই এই বিক্ষোভ হয়েছে।
হঠাৎ করে অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়া ও পাওনা নিষ্পত্তির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে তারা ব্যাখ্যা দাবি করেছেন। এ সময়ে বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা গেছে তাদের।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক এখন বিশ্বে দৃষ্টান্ত: ভোরের কাগজ গোলটেবিল বৈঠকে শাহরিয়ার আলম
পত্রিকা বন্ধে আকস্মিক কর্মহীন হওয়ায় নিজেদের হতাশার কথাও ব্যক্ত করেন তারা। মানববন্ধনে ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষের অর্থনৈতিক অনিয়মের কথা তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংবাদিক ও কর্মচারীরা।
ভোরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদক খোন্দকার কাওছার হোসেন বলেন, ‘সম্পাদক গ্রেপ্তার হওয়ার পর পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকের পদে বসেন সাবের হোসেন চৌধুরীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আবাসিক পরিচালক অরুন কুমার সরকার। তিনি ও পত্রিকার মালিক নিশ্চিত করেছেন যে, আমাদের সব পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এখন তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।’
কাগজটি বন্ধ হয়ে যাওয়াকে অগ্রহণযোগ্য আখ্যা দিয়ে এই প্রতিবেদক বলেন, ‘আর্থিক ও প্রশাসনিক বিভাগের দুর্নীতির কারণে পত্রিকাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
এ সময়ে অষ্টম মজুরি বোর্ড অনুসারে পাওনা পরিশোধ ও পত্রিকাটি ফের চালু করার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন পত্রিকার মালিক সাবের হোসেন চৌধুরী। গেল সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর মালিবাগে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এক নোটিস টানিয়ে ৩৩ বছরের পুরনো এ সংবাদপত্রটির বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত ৭ দিনের রিমান্ডে
১৯৯২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘মুক্তচিন্তার দৈনিক’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলা এ দৈনিক।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৬ সেপ্টেম্বর পত্রিকাটির সম্পাদক শ্যামল দত্তকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত থেকে আটক করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। শ্যামল দত্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
১ সপ্তাহ আগে
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের আশা-আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক নতুন বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বঙ্গভবনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
ডিআরইউয়ের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এ সময় তারা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যক্রম তুলে ধরেন এবং সাংবাদিকদের কল্যাণে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ এবং সমাজের দর্পণ।’ তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধ, দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম ও জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের গৌরবময় অবদানের কথা স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সমাজে সুবিচার, ন্যায় ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় এবং মানুষের মানবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সাংবাদিক সমাজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: ভিসা পদ্ধতি সহজসহ রাশিয়াকে আরও জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করে ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
গুজব, অপপ্রচার, অপতথ্য ও বিকৃত তথ্য প্রচার প্রতিরোধে এবং এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকার ওপর জোর দেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
এসময় রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী ও প্রেসসচিব মো. সরওয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।
২ সপ্তাহ আগে
অস্থায়ী পাসে সোমবার থেকে সচিবালয়ে ঢুকতে পারবেন সাংবাদিকরা
অস্থায়ী পাস নিয়ে সোমবার থেকে সচিবালয়ে ঢুকতে পারবেন সাংবাদিকরা। বিএসআরএফ সদস্যসহ যারা সচিবালয়ে নিয়মিত যুক্ত তারাই সচিবালয়ে ঢুকতে পারবেন।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের নেতারা। বৈঠকে সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বিএসআরএফ সদস্যসহ সচিবালয় বিটে নিয়মিত কর্মরত সাংবাদিকরা যেন আগের মতো প্রবেশ করতে পারেন বৈঠকে এ দাবি জানান বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যসহ সচিবালয় বিটে নিয়মিত কর্মরত সাংবাদিকরা আগামীকাল (সোমবার) অস্থায়ী পাসের মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারবেন।
মাসউদুল হক দাবি জানিয়ে বলেন, বিএসআরএফ সদস্যসহ সচিবালয় বিটে যারা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেন, তাদের কার্ড যেন বাতিল না হয়।
আরও পড়ুন: সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশে সীমাবদ্ধতা
বিএসআরএফ সদস্যদের স্থায়ী কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে পিআইডি থেকে পাঠানো আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পুলিশের এসবি ও এনএসআইয়ের তদন্তের পর প্রাপ্ত কার্ড বাতিল না করার দাবি জানালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, যেহেতু সকল কার্ড বাতিল করা হয়েছে, তাই নতুন করে আবেদন করতে হবে, এটি উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত।
উপদেষ্টা জানান, সাংবাদিকদের নতুন করে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু করবে সরকার। এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের তথ্য অধিদপ্তর। এই কার্ড ডিজিটাল করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাবের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএসআরএফ সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী আজাদ মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমন, দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন (রাকিব), প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য ঝর্ণা রায়, উবায়দুল্লাহ বাদল, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাহমুদ আকাশ, মো. রাকিব হাসান, মহসীনুল করিম লেবু, আয়নাল হোসেন, সংগঠনের সদস্য এম এ নোমান আমিরুল ইসলাম, শাহনাজ বিশ্বাস ইয়াসমিন, মো. আরীফ হোসেন, মো. শামছুল ইসলাম, হাসিফ মাহমুদ শাহ ও ইসমাইল হোসাইন রাসেল।
বিএসআরএফ সদস্যদের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের জন্য তালিকা অনুযায়ী আপাদত গেইটে অস্থায়ী পাস দেওয়া থাকবে।
আরও পড়ুন: সচিবালয়ের দাপ্তরিক কার্যক্রম একদিনও বন্ধ রাখা হবে না: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
১ মাস আগে
পতিত স্বৈরাচার-দোসরদের বিচার সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের জন্য উন্মুক্ত: প্রধান উপদেষ্টা
৫৪তম মহান স্বাধীনতা হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত পতিত স্বৈরশাসন ও তার দোসরদের বিচার কার্যক্রম এগিয়ে চলছে এবং তা সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
৫৪তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করা হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য আসামিদের বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থনেরও সব ধরনের সুযোগ তারা পাবেন।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিচারের যেকোনো অংশ চাইলে যে কেউ রেকর্ড করার সুযোগ পাবেন।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম খান সম্প্রতি আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি আইসিটি প্রসিকিউটর এবং অন্যান্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে সম্মত হয়েছেন এবং আইসিটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আলাদাভাবে আমরা গণহত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা করব বলে তাকে জানিয়েছি।’
১ মাস আগে
সাংবাদিক মোল্লা জালাল গ্রেপ্তার
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মোল্লা জালালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ মনসুর জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশের একটি দল জালালকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক গ্রেপ্তার
ওসি বলেন, সোহেলী নামে এক নারী কিছুদিন আগে শাহবাগ থানায় জালালের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পরে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়।
সাংবাদিক মোল্লা জালাল ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: আরও এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো হাজী সেলিমকে
৩ মাস আগে
রাষ্ট্রদূত হলেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
সোমবার (২১ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যোগদানের দিন থেকে তিন বছরের জন্য কোনো পেশা, ব্যবসা, সরকারি বা আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার শর্তে আনসারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তবে তিনি কোন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করবেন তা এখনো জানা যায়নি।
প্রায় এক দশক নির্বাসিত জীবন শেষে গত ১২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে আসেন মুশফিকুল ফজল আনসারী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সহিংসতায় কোনো অজুহাত নয়, দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
তিনি ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করার জন্য সুপরিচিত আনসারী।
তিনি ওয়াশিংটনভিত্তিক ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন সাউথ এশিয়া পারস্পেকটিভসের (এসএপি) নির্বাহী সম্পাদক।
তিনি জাস্টনিউজবিডিতে সম্পাদক ও হোয়াইট হাউস করেসপন্ডেন্ট হিসেবে জাতিসংঘ, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও পেন্টাগন কাভার করছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক ৫০১(সি)(৩) অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রাইট টু ফ্রিডম- আরটুএফ’র নির্বাহী পরিচালক। তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরের স্থায়ী সংবাদদাতা।
তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব (২০০১-২০০৬) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলা ভাষার প্রাচীনতম দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনৈতিক সংবাদদাতা।
আনসারী এনটিভিতে হ্যালো এক্সেলেন্সি শিরোনামে একটি জনপ্রিয় টিভি শো সঞ্চালনা করেছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রায় ৬০ জন রাষ্ট্রদূত ও বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুন: হেগের বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘নদীর সঙ্গে বসবাস’ বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
৩ মাস আগে
‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও হত্যা মামলা অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন’
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও হত্যা মামলা অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে সম্পাদক পরিষদ।
শনিবার সংগঠনের সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সিই এক বিবৃতির মাধ্যমে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুনের মামলা থেকে সাংবাদিকদের অব্যাহতি দিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ডিইউজের অনুরোধ
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢালাও অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের এখনো অব্যাহত। সম্পাদক পরিষদ দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চায়, এ ধরনের মামলা প্রচলিত আইনের অপব্যবহারের শামিল। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিশ্রুতিরও লঙ্ঘন। সাংবাদিকরা কোনো অপরাধ করলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ ধারা অনুসরণ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
সম্পাদক পরিষদ আরও জোর দিয়ে বলে, পেশাদারিত্ব বাদ দিয়ে নীতিবিবর্জিত ও লেজুড়বৃত্তির সাংবাদিকতা বর্জনীয়। যেসব সাংবাদিক বিগত সরকারের নানা নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ডে সাংবাদিকতার নামে সমর্থন দিয়েছেন, প্রেস কাউন্সিলে একটি কমিটি গঠন করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও অনুসন্ধান হতে পারে। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে প্রেস কাউন্সিল আইনে তাদের সাজা হতে পারে। তাদের অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে প্রেস কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রচলিত আইনে তাদের বিচার চলতে পারে। বিগত সরকারের সময়ে ডিএসএ বা সিএসএসহ নিবর্তনমূলক বিভিন্ন আইন ও হয়রানিমূলক আটক-গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের যে প্রয়াস চালানো হয়েছিল, তা বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে অত্যন্ত নিন্দিত ও সমালোচিত হয়েছিল। আর বর্তমানে সাংবাদিকদের নামে এভাবে ক্রমাগত হত্যা মামলা দেওয়ার প্রবণতাও আন্তর্জাতিক অঙ্গণে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করছে বলে সম্পাদক পরিষদ মনে করে।
যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করে অভিযুক্ত সাংবাদিকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া গেলে এসব মামলা থেকে দ্রুত তাদের অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান জানায় সম্পাদক পরিষদ।
আরও পড়ুন: ২৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ ডিআরইউয়ের
৪ মাস আগে
গণমাধ্যমের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় সংস্কার দাবি সাংবাদিকদের
ক্ষমতাশালী শ্রেণির প্রভাবমুক্ত সাংবাদিকতা নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন সর্বস্তরের সাংবাদিকরা।
শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘গণমাধ্যম সংস্কার উদ্যোগ’ ব্যানারে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন সর্বস্তরের সাংবাদিকরা।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকে দেশ-জনগণের স্বার্থে দাঁড়ানোর আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
তারা বলেন, করপোরেট মালিকদের স্বার্থরক্ষা ও রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তিমূলক সাংবাদিকতা পেশাদার গণমাধ্যমকর্মীদের অধিকার ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি গণমাধ্যমকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।
এছাড়া এ সংকট কাটাতে গণমাধ্যমের সামষ্টিক চরিত্র পালটে জনবান্ধবমুখী করার দাবিও জানান তারা।
সভা পরিচালনা করেন সাংবাদিক আরিফুল সাজ্জাদ ও আহমেদ ফয়েজ।
বৈঠকে সাংবাদিকরা একটি মুক্ত, স্বাধীন ও শক্তিশালী গণমাধ্যমের জন্য নির্দলীয় প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একমত পোষণ করেন।
অনুষ্ঠানে লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, ‘সাম্প্রতিক রাষ্ট্রীয় গণহত্যায় গণমাধ্যম কোনোভাবেই তার দায় এড়াতে পারে না। সেজন্য এখন আমাদের প্রচণ্ড রকমের আত্মসমালোচনা দরকার।’
সাংবাদিকতায় এখন তিনটি অভ্যুত্থান দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রথমত করপোরেট ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে, দ্বিতীয়ত দলীয় সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেস ক্লাবের বিরুদ্ধে এবং তৃতীয়ত নিজেদের লোভ ও পক্ষপাতের বিরুদ্ধে আমাদের অভ্যুত্থান দরকার।’
সিনিয়র সাংবাদিক খায়রুজ্জামান কামাল নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘সাংবাদিকতার সবচেয়ে বড় সংকট করপোরেট মালিকানা। এই ব্যবস্থার পরিবর্তন না করতে পারলে গণমাধ্যমকর্মীদের অর্থনৈতিক মুক্তিসহ আমরা যে জনবান্ধব গণমাধ্যম দেখতে চাই, সেটি কঠিন হয়ে পড়বে।’
এছাড়া তিনি দল মতের বাইরে পেশাদার সাংবাদিকদের নিয়ে একটি শক্তিশালী সংগঠন তৈরির ওপর জোর দেন।
আরেক সিনিয়র সাংবাদিক সেলিম সামাদ বলেন, ‘সাংবাদিকরা নিজেদের কর্মক্ষেত্রেই আজ সবচেয়ে বড় পরাধীন। সাংবাদিকদের হুটহাট কেন চাকরি যায় তার বিরুদ্ধে শক্ত কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।’
দ্যা ডেইলি স্টারের সিনিয়র সাংবাদিক বাহরাম বলেন, ‘রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যম। সেই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় আমাদের যা করণীয় করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় ইউনূসের প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম সংগঠনগুলোর আহ্বান
তিনি বলেন, ‘অপেশাদার, রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তিমূলক সাংবাদিকতা আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করতে হবে। এজন্য আমাদের একদফা দাবি গণমাধ্যমে ব্যাপক সংস্কার আনতে হবে।’
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের বাংলাদেশ প্রতিনিধি কামরুজ্জামান বাবলু বলেন, ‘আমাদের সিনিয়র সাংবাদিকদের অনেকে এতোটাই ক্ষমতার লোভ ও স্বার্থের কাছে নিজেদের বিকিয়ে দিয়েছে, যে তাদের দিয়ে আর কোনো পরিবর্তন আশা করা যায় না। সাংবাদিকতাকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আকর্ষণীয় পেশা হিসেবে তুলে ধরতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে।’
মত বিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন, একাত্তর টেলিভিশনের শাহনাজ শারমিন, নিউ এইজের মঈনুল হক, মাই টিভির মাহবুব সৈকত, কালবেলার জুনাইদ শিশির, সাংবাদিক মিজানুর রহমান কবির, নিউজ ২৪ এর হোসাইন শাহদাৎ ও দ্যা বিজনেস পোস্টের আশরাফুল ইসলাম রানা।
অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের ব্যাপক সংস্কারকল্পে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেন সাংবাদিকরা।
দাবিগুলো হলো-
* ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিহত সাংবাদিকদের হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
* ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ঘিরে আহত-নিহত গণমাধ্যমকর্মী ও আক্রান্ত গণমাধ্যমকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সব বন্ধ গণমাধ্যম অনতিবিলম্বে খুলে দিতে হবে।
* গণমাধ্যমের যেসব মালিক ও নির্বাহীরা গণমাধ্যমকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করেছে, তদন্ত সাপেক্ষ তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
* গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য অভিন্ন ওয়েজবোর্ড প্রণয়ন করতে হবে। অনতিবিলম্বে নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করতে হবে। যারা অষ্টম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করেছে বলে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে কিন্তু বাস্তবে বাস্তবায়ন করেনি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে হবে।
* শ্রম আইন অনুযায়ী লভ্যাংশ বণ্টন করতে হবে।
* উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অগণতান্ত্রিক উপায়ে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের দখলদারিত্বের যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
* গণমাধ্যম কর্মীদের সর্বস্তরের ভয়ভীতি দেখানো বন্ধ করতে হবে। গণমাধ্যম পরিচালনা সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ এবং সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচনে সরকার ও বিশেষ সংস্থার নির্দেশনা, নিয়ন্ত্রণ প্রবণতা চিরতরে বন্ধ করতে হবে।
* গণমাধ্যম পরিচালনার ধরনসহ সার্বিক বিষয়ে সংস্কারের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করতে হবে।
* গণমাধ্যম ও স্বাধীন মত প্রকাশে বিরোধী নিবর্তনমূলক আইনের সব ধারা বাতিল করতে হবে।
* আইসিটি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি আইনের অধীনে গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
* সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাসহ সব হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
* বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের গুম, নির্যাতন ও হয়রানির সঙ্গে জড়িতদের বিচার করতে হবে।
* সব গণমাধ্যম যেন গণমানুষের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করতে পারে সেই নিশ্চয়তার বিধান করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ, যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার সম্ভাবনা: ভারতীয় গণমাধ্যম
৫ মাস আগে