দেশজুড়ে ঘটে যাওয়া সহিংসতা এবং দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন সংস্কৃতিকর্মীরা।
৫ আগস্ট ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল জনপ্রিয় গায়ক ও সংস্কৃতিকর্মী রাহুল আনন্দের বাড়ি। এ ঘটনাসহ দেশে সংঘটিত সব অরাজকতার প্রতিবাদে মিছিল ও সমাবেশ করেন প্রাচ্যনাট ও রাহুলের বন্ধুরা।
সমাবেশে তারা সহিংসতা বন্ধে এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা কমপ্লেক্সের সামনে 'শিল্পা, স্থাপত্য ও শিল্পাঙ্গন ধ্বংসের বিরুদ্ধে অবস্থান' ব্যানারে শিল্পী সম্প্রদায় জড়ো হন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব পর্যন্ত প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন তারা।
প্রাচ্যনাটের আর্টিস্টিক ডিরেক্টর ও অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহে যখন ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন কোটা সংস্কার আন্দোলন তুঙ্গে ছিল এবং এটি স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের দাবিতে একটি বিশাল আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল, তখন শিল্পীরা সর্বোচ্চ সমর্থন নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও প্রাচ্যনাটের নাট্যকর্মী এবং জলের গানের ফ্রন্টম্যান রাহুল আনন্দের উপর যে নৃশংসতা চলছে তা দেখে আমরা হতবাক। শুধু শিল্পী সম্প্রদায় নয়, সবাইকে রক্ষার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি, আমরা সহিংসতার অবসান দেখতে চাই।’
আরও পড়ুন: আসছে নিশো-তমা জুটির নতুন সিনেমা ‘অসিয়ত’