বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় মধুমিতা সিনেমা হলে এ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অন্যদিকে উৎসব উদ্বোধন করেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি খুব সৌভাগ্যবান কারণ সালমানের মতো নায়ক আমাদের ছিল। আমি হলে গিয়ে তার ছবি দেখেছি। পুরুষ মানুষের কপাল বড় হলে অনেকে বলেন, মাথায় চুল কেন কম? কিন্তু সালমান শাহ এমন একটা নায়ক তার বড় কপাল দেখে অনেক তরুণরা মাথার চুল ছেটে কপাল বড় করতেন! এটাই ছিলেন সালমান শাহ। তিনি যা করে গেছেন, সেই স্টাইল এখনও আমরা ধারণ করে চলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতিবান্ধব এ সরকার বরাবরই দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এগুলোর ১৩টিতে আধুনিক প্রযুক্তির সিনেপ্লেক্স যুক্ত করা হচ্ছে। গত মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমতি দিয়েছেন।’
শাকিব খান বলেন, ‘সালমান শাহর মৃত্যুর এত বছর পরেও তিনি মানুষের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়। কোটি ভক্তের হৃদয়ে জায়গা করে আছেন। অন্য অনেকের মতোই সালমান শাহ আমার প্রাণের নায়ক। অনেকদিন ধরে তার নামে এফডিসিতে একটি ফ্লোরের দাবি করা হচ্ছে। সামনেই এফডিসিতে আমার শুটিং আছে তখন আমি তাদের (বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ) সঙ্গে আলোচনা করব। যেন সালমান শাহর নামে একটি ফ্লোর বা রাস্তার নামকরণ করা হয়।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন গানবাংলা টিভি ও টিএম ফিল্মসের চেয়ারম্যান ফারজানা মুন্নী, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফালগুনী হামিদ ও চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সালমান শাহর প্রথম ছবির পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান ও শেষ ছবির পরিচালক ছটকু আহমেদ। ছিলেন নির্মাতা অরুণ চৌধুরী, এস এ হক অলিক, চিত্রনায়িকা আইরিন সুলতানা, অমৃতা খান, জাহারা মিতু, কণ্ঠশিল্পী আরিফ, সাব্বির, লুইপা, ঐশী, রাশেদসহ সালমান শাহ ভক্তরা।
পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আনজাম মাসুদ। অনুষ্ঠান শুরু হয় সালমান শাহকে নিয়ে তৈরি সিমিত রায় অন্তরের একটি ডকুফিল্ম প্রদর্শনের মাধ্যমে। শেষ হয় জন্মদিনের কেক কাটার মধ্য দিয়ে।
উৎসব আয়োজক ঢুলি কমিউনিকেশনস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ মানজুর জানান, ২০ সেপ্টেম্বর থেকে উৎসবে প্রদর্শিত হবে সালমান শাহ অভিনীত ৭টি বিশেষ সিনেমা।
এরমধ্যে রয়েছে ২০ সেপ্টেম্বর ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ২১ সেপ্টেম্বর ‘তোমাকে চাই’, ২২ সেপ্টেম্বর ‘মায়ের অধিকার’, ২৩ সেপ্টেম্বর ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ২৪ সেপ্টেম্বর ‘তুমি আমার’, ২৫ সেপ্টেম্বর ‘অন্তরে অন্তরে’ এবং উৎসবের পর্দা নামবে ২৬ সেপ্টেম্বর ‘সত্যের মৃত্যু নেই’ ছবিটি দিনব্যাপী প্রদর্শনীর মাধ্যমে।
মধুমিতা হল কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবারে (২০ সেপ্টেম্বর) মর্নিং শো-সহ চারটি প্রদর্শনী হবে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির। বাকি ছবিগুলোর তিনটি করে শো হবে রোজ। শো টাইম: সকাল ১০টা থেকে ১২ টা (শুক্রবার), বেলা ১২টা থেকে ৩টা, ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা এবং ৬টা থেকে রাত ৯টা।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৪ সালে ঢুলি কমিউনিকেশন্সের উদ্যোগে রাজধানীর বলাকা প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হয় ‘সালমান শাহ স্মরণ উৎসব’। সে বছর ৬ সেপ্টেম্বর এই নায়কের মৃত্যুবার্ষিকীকে ঘিরে আয়োজিত উৎসবটি ব্যাপক সাড়া ফেলে।