ইউক্রেন সংকট নিরসনে চীনের যে প্রচেষ্টা, সেজন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে গেছেন পুতিন। সেখানে প্রাথমিক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন বিশ্ব রাজনীতির প্রভাবশালী এ দুই নেতা।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরুর পর ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে: জেলেনস্কি
এ সময় শি বলেন, ‘আমরা আশা করি, ইউরোপে শিগগিরই শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। আর এ বিষয়ে চীন একটি গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।’
পরে শি-কে ধন্যবাদ দিয়ে পুতিন জানান, ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে চীনকে বিস্তারিত জানানো হবে।
তিনি বলেন, ‘(ইউক্রেন) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের চীনা সহকর্মী ও বন্ধুদের উদ্যোগের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’
সফরকালে দুই দেশের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে চীনের সঙ্গে আরও ব্যাপক আলোচনা হবে বলে জানান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেনে আগ্রাসনের বিষয়ে রাশিয়ার প্রধান সমর্থক চীন। অস্ত্র তৈরি থেকে শুরু করে রাশিয়ার যেকোনো প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করে চলেছে বেইজিং। অন্যদিকে, রাশিয়ার তেল ও গ্যাস কিনে দেশটির অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে সহযোগিতা করছে চীন।
আরও পড়ুন: চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত: শি জিনপিং
সংবাদ সম্মেলনের আগে, চীন ও রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে এ বিষয়ক একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন দুই নেতা।
২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর আগে ‘সীমাহীন বন্ধুত্ব’ নামে একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন পুতিন ও শি। তারপর থেকে রাশিয়ার অকৃত্রিম বন্ধুতে পরিণত হয়েছে চীন। ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যখন রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞার খড়্গ নেমে আসছিল, তখনও পূর্ণ সমর্থন দিয়ে গেছে চীন। ওই সময় থেকে চীনের ওপর আরও নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে মস্কো।