মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের কারণে রবিবার ইসরায়েল ও লেবাননগামী এবং সেখান থেকে আসা ফ্লাইট স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের কয়েকটি বড় বিমান সংস্থা।
ফরাসি নিউজ চ্যানেল বিএফএমটিভি জানিয়েছে, এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে এয়ার ফ্রান্স ইসরায়েলের তেল আবিব ও লেবাননের বৈরুতে তাদের ফ্লাইট সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এয়ার ফ্রান্সের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘আজ ও আগামীকালের (রবি ও সোমবার) ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সোমবার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।
একইভাবে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ বুধবার পর্যন্ত ইসরায়েলের তেল আবিবগামী ও সেখান থেকে ফ্লাইট স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে।
হাঙ্গেরির বাজেট এয়ারলাইন উইজ এয়ার তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, ওই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির কারণে উইজ এয়ার ২৫ আগস্ট ইসরায়েলগামী ও ইসরায়েল থেকে আসা ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
গ্রিসের পতাকাবাহী বিমান সংস্থা এজিয়ান এয়ারলাইন্স রবিবার ইসরায়েল ও বৈরুতগামী বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়, তেল আবিবগামী তিনটি এবং বৈরুতগামী দুটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, যার মধ্যে সোমবারের একটি ফ্লাইটও রয়েছে।
জার্মান এয়ারলাইন জায়ান্ট লুফথানসা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৈরুত এবং তেল আবিব ও তেহরানে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফ্লাইট স্থগিতের মেয়াদ বাড়িয়েছে।
ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে রবিবার ভোরে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে তাদের দীর্ঘদিনের সংঘাত আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, গত মাসে বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তাদের কমান্ডার ফুয়াদ শোকোর নিহত হওয়ার প্রতিশোধ নিতে তারা ইসরায়েলে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর জবাবে ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর রকেট লঞ্চার লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানোর আগাম আভাস দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয়, মধ্যপ্রাচ্যে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির পরে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি উভয়ই রবিবার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। তারা এই অঞ্চলে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
আগস্টের শুরুতে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করলে অনেক ইউরোপীয় দেশ তাদের নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান জানায়। এদিকে, এয়ার ফ্রান্স ও রোমানিয়ার জাতীয় বিমান সংস্থা টিএআরওএমসহ কয়েকটি ইউরোপীয় বিমান সংস্থা তাদের ফ্লাইট স্থগিত করে। যদিও পরে তারা এই সর্বশেষ উত্তেজনার আগে পরিষেবা পুনরায় শুরু করে।