এদিকে, চীনে মাত্র ১০ দিনে তৈরি হওয়া হাসপাতালে গতকাল (সোমবার) থেকে নতুন এ ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া শুরু হয়েছে।
করোনাভাইরাস আক্রান্তের প্রভাব এবার চীনের অর্থনীতিতেও পড়া শুরু করেছে। ভাইরাসটির আক্রমণ রোধে মানুষের চলাচলের ওপরও নতুন করে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
জাপানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি যাত্রীবাহী জাহাজের এক ব্যক্তিকে পরীক্ষা করে ভাইরাসটির লক্ষণ পাওয়ায় সে জাহাজের থাকা তিন হাজারেরও বেশি যাত্রীকে কোরেন্টাইনে রাখা যায় কিনা সে ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ডিসেম্বরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থাকা বিভিন্ন দেশের লোকজনকে তারা সরিয়ে নিচ্ছে।
ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি প্রথম শনাক্ত করা হুবেই প্রদেশে এরই মধ্যে এক হাজার শয্যার একটি নতুন হাসপাতাল নির্মাণ করে সেখানে রোগীদের ভর্তি শুরু করেছে এবং প্রদেশটিতে দেড় হাজার শয্যার দ্বিতীয় হাপপাতালটিও কয়েকদিনের মধ্যে খুলে দেয়া হবে।
নতুন এ করোনাভাইরাস ২৪টি দেশে ছড়িয়েছে। তবে চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি জাপানে। সেখানে ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়া, থাইল্যান্ডে ১৯ জন, সিঙ্গাপুরে ১৮ জন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ফিলিপাইনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।